বাংলা নাটকের প্রবাদপুরুষ নাট্যাচার্য ড. সেলিম আল দীনের জন্মস্থান ফেনীর সোনাগাজীতে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করার ঘোষণা দিয়েছেন সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালেদ। আজ বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) উপজেলার মঙ্গলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে আয়োজিত ‘সেলিম আল দীন’ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন তিনি। এজন্য ৬০ শতাংশ জায়গা বরাদ্দের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


বাংলা সংস্কৃতির বিকাশে বর্তমান সরকারের ভূমিকা উল্লেখ করে সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলা সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় সচেষ্ট রয়েছেন। তিনি বলেন, সেলিম আল দীন মেলাটি সরকারের অর্থায়নে হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতির বিকাশে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চলেছেন।


তিনি বলেন, সেলিম আল দীনের সঙ্গে আমার বন্ধুর সম্পর্ক ছিল। আমার একসাথে অনেক সময় কাটিয়েছি, গল্প করেছি, খেয়েছি।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ সুপ্রতিষ্ঠিত করতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে শেখ হাসিনার সরকার চিরজীবন দরকার।


ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য লেঃ জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, সেলিম আল দীন এমন একজন মানুষ যিনি বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে তিনি একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র।


জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী, সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেব, সোনাগাজী পৌর মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মফিজুর রহমান প্রমুখ।


ফেনী থিয়েটারের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ মাযহারের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছাঃ সুমনী আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম জাকারিয়া, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে স্থানীয় সংগঠনের শিল্পীরা।