ফেনীতে হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থানরত দুই প্রবাসী সর্দি কাশিতে ভুগছেন। তাদের ব্যাপারে ঢাকায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউকে (আইইডিসিআর) অবহিত করাও হলেও, পরীক্ষার নিরীক্ষার জন্য এখন পর্যন্ত সেখান হতে কোন টিম আসেনি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।


সিভিল সার্জন জানান, সর্দি কাশিতে আক্রান্ত এক প্রবাসীর ব্যাপারে আইইডিসিআরকে মঙ্গলবার জানানো হয়। গতকাল বুধবার আবারো আরও একজনের ব্যাপারে তাদের অবহিত করতে চাইলে ফোনে পাওয়া যায় নি। তিনি জানান, ফেনী জেনারেল হাসাপাতালের একজন কনসালটেন্ট মুঠোফোনে দুইজনের মধ্যে একজনকে সাধারণ সর্দি কাশির জন্য চিকিৎসা পরামর্শ দিয়েছেন। তার অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে। এতে বোঝা যায় তিনি সাধারণ সর্দি কাশিতে আক্রান্ত। সিভিল সার্জন জানান, এদের দুইজনই ইতালি প্রবাসী।


তিনি আরও জানান, করোনা ভাইরাস সনাক্ত ও চিকিৎসায় চট্টগ্রামে শ্রীঘ্রই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু হবে।


সিভিল সার্জন জানান, গত ৮ মার্চ হতে ফেনীতে প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিন চালু করা হয়েছে। আজ সকাল পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে অবস্থানকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৪ জন। এদের মধ্যে ৮৭ জন প্রবাসী, বাকীরা তাদের পরিবারের সদস্য।


কোয়ারেন্টিনে থাকা এসব ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করছে স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাদের প্রতি নজর রাখতে। এছাড়া সিভিল পোশাকে পুলিশ সদস্যরা কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে বলে জানান ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন।