প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১০ টাকায় কেজি চাল পাচ্ছে ফেনীর নিম্ন আয়ের মানুষ। দিনে ১২ টন চাল ১০ টাকা কেজি হিসেবে কেনার সুযোগ রয়েছে। সাপ্তাহে তিনদিন নির্দিষ্ট ডিলাররা চাল বিক্রয় করবে।


আজ রবিবার (৫ এপ্রিল) সকালে কলেজ রোড হতে ওপেন মার্কেট সিস্টেম (ওএমএস) খাতে চাল বরাদ্দ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছাঃ সুমনী আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের রুটিন দায়িত্বে মোঃ সহিদ উদ্দিন মাহমুদ।


জেলা প্রশাসক বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে, নাগরিকের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের কাজ না থাকায় কষ্ট করছে। তাদের কষ্ট লাঘবে সরকার ১০ টাকা কেজি দরে নিয়মিত চাল সরবরাহ করবে।


জেলা প্রশাসক বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের নানাবিধ সহযোগিতার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে হতে সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ফেনীতে খাদ্যের কোনো সংকট নেই, খাদ্যের অভাব নেই। তিনি বলেন, সহযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সবাই যেন ঘরে থাকে, নিজেকে নিরাপদ রাখে। মানুষ যদি এরপরও করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘর হতে বের হয়, তবে সরকার ও মানুষের এত সহযোগিতা সবই ব্যর্থ হয়ে যাবে।


জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (রুঃ দাঃ) জানান, ফেনী জেলা শহরের ১৮টি ডিলার হতে সাপ্তাহে ৩দিন ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় হবে। প্রতি রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার মানুষ চাল কিনতে পারবে। একজন ব্যক্তি একবারে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কেনার সুযোগ পাবে। পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৮ জন ডিলার ও বিক্রয় কেন্দ্র হচ্ছে আবদুল মতিন, কলেজ রোড; জাফর উল্যাহ হাজারী, মাস্টারপাড়া; মোতাহার হোসেন, সহদেবপুর; জসিম উদ্দিন, সুফী সদর উদ্দিন রোড; নুরুল হক, পশ্চিম ডাক্তারপাড়া;মোঃ ইলিয়াছ, পূর্ব রামপুর; মোঃ দেলোয়ার হোসেন, হাসপাতাল সড়ক; মোঃ ইসলাম, মহিপাল, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মহিপাল; নজরুল ইসলাম ভূঞা, শাহীন একাডেমী রোড; মোঃ নবী আলম, পশ্চিম ডাক্তারপাড়া; কাজী আবদুল মতিন, শান্তি কোম্পানী রোড; পেয়ার আহম্মদ, কদলগাজী রোড; আবুল কাশেম, বিরিঞ্চি; নুরুল জাহিদ, উপজেলা গেইট সংলগ্ন; শাহাদাত হোসেন, বারাহীপুর, মোঃ শফি উল্যাহ, বারাহীপুর রেল গেইট সংলগ্ন, নাছির উদ্দীন হাজারী, মাস্টারপাড়া।