প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির মাধ্যমেও করোনা ছড়াতে পারে। প্রথমবারের মত করোনায় মৃত এক ব্যক্তির মেডিকেল পরীক্ষা করাতে গিয়ে পরীক্ষক নিজেই আক্রান্ত হয়েছেন, এই তথ্য প্রকাশ করেছেন থাইল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট, বিজনেস ইনসাইডার ও বাজফিড নিউজের প্রতিবেদনসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রবিবার এক চিঠিতে জার্নাল অফ ফরেনসিক এন্ড লিগ্যাল মেডিসেনে এই ঘটনা প্রকাশ করে। ব্যাংককের আরভিটি মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসক ওন শ্রীজিতালাই এবং চীনের হাইকৌয়ের হাইনান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিরোজ উইওয়ানিতকিট এই চিঠি লিখেছেন।

চিঠির বরাত দিয়ে বাজফিড নিউজ জানায়, ব্যাংককে এক ফরেনসিক মেডিক্যাল পরীক্ষক মৃতদেহ থেকে প্রথমবারের মত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রকাশিত ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মৃতদেহে কতক্ষণ পর্যন্ত করোনাভাইরাস বেঁচে থাকে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নয়।

ওন শ্রীজিতালাই ও ভিরোজ চিঠিতে লিখেন, অপারেশন কক্ষে যেভাবে জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা প্যাথলজি বা ফরেনসিক ইউনিটগুলিতেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়া লিখেছেন, এই মুহূর্তে থাইল্যান্ডে করোনায় মারা যাওয়া মৃতদেহ নিয়মিতভাবে পরীক্ষা না হওয়ায় কতগুলো মৃতদেহে করোনা আছে সে সম্পর্কে তথ্য নেই।

নিউ ইয়র্কের জন জয় কলেজ অফ ক্রিমিনাল জাস্টিসের প্যাথলজির প্রফেসর আঞ্জেলিক করথালস বলেন, শুধু মেডিক্যাল পরীক্ষকরা নন, মর্গের টেকনিশিয়ান ও দাফন কাজে নিয়োজিতদের অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এটা সত্যি উদ্বেগের।

নিউ হ্যাভেন ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্য নীতি বিশেষজ্ঞ সামার জনসন ম্যাকগি ইমেইলের মাধ্যমে বাজফিড নিউজকে বলেন, যেকেউ করোনায় আক্রান্ত জীবিত ব্যক্তি বা মৃতদেহের সংস্পর্শে আসছেন, তাদের অবশ্যই পিপিই পরে আসা উচিৎ।

এদিকে সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের ওয়েবসাইটে করোনায় মৃতদের মরদেহ নিয়ে 'ইনফেকশন প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল ফর দ্য সেফ ম্যানেজমেন্ট অব অ্যা ডেড বডি ইন দ্য কন্টেক্সট অব কোভিড-১৯' শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশ করেছে।

সেখানে বলা হয়, কোন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার শরীর থেকে ভাইরাস অন্য কারও দেহে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

সূত্রঃ মেডিভয়েসবিডি.কম