আউশ মৌসুমে ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় ফেনীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্য সার ও বীজ বিতরণ চলছে। জেলায় ৩ হাজার কৃষককে ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বীজ, সার ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় হিসেবে প্রদানের কথা জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফেনী।


জেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেন, ফেনীতে অনেক জমি অনাবাদি রয়ে যায়। এগুলো চাষের আওতায় আনা গেলে জেলার খাদ্য ভান্ডার স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। এ মৌসুমে চাষ কম হয় তাই সরকারের এ পদক্ষেপ উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।


ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও জেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন খান বলেন, এ মওসুমে আমাদের দেশে ধানের আবাদ কম হয়। আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার আউশ ধান চাষাবাদে এ প্রণোদনা দিয়েছে সরকার।


কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনী অফিস সূত্র ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিঠুন ভৌমিক জানান, প্রত্যেক কৃষককে এক বিঘা জমিতে চাষাবাদের জন্য ৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং পরিবহন ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় বাবদ ১শ ৪০ টাকা প্রদান করা হচ্ছে। জেলার ছয় উপজেলায় ৩ হাজার কৃষককে সমপরিমান বিঘা জমিতে আউশ ধান চাষাবাদে ১৫ মে. টন বীজ, ৬০ মে. টন ডিএপি ও ৩০ মে. টন এমওপি সার কৃষি প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও পরিবহন ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় হিসেবে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রদান করছে।


সূত্র জানায়, ফেনী সদর ও দাগনভূঞায় ৬শ জন করে কৃষক এ প্রণোদনা পেয়েছে। ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম উপজেলায় ১৫০ জন করে এবং সোনাগাজীতে ১হাজার ৩শ ৫০জন কৃষক এ সহায়তা পাচ্ছেন।


সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, উপজেলা কার্যালয় হতে ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষকদের বিতরণের জন্য বন্টন করা হয়েছে। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে উপকরণ।


তিনি জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে তা বিতরণ করা হয়েছে।


উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মনসুর উদ্দিন জানান, ফেনী সদরে তালিকাভুক্ত কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা বীজ ও সার বিতরণের কাজ শেষ হয়েছে। তাদের কাছে গিয়ে এসব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।


ধর্মপুর ইউনিয়নের মধ্যম কাছাড় গ্রামের কৃষক নেজাম উদ্দিন বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রসঙ্গে বলেন, কিছু জমি এ মৌসুমে অনাবাদি থেকে যায়। এছাড়াও এ সময়ে গরমের কারনে উৎপাদন খরচও বাড়ে। এ সহায়তা উৎপাদনে উদ্যোগী করবে।