দাগনভূঞার জায়লস্কর ইউনিয়নে আবাদযোগ্য সকল জমিকে চাষের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মিলন।


আজ শনিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ বারাহী গোবিন্দ এলাকায় ৫০ একর জমিতে আউশ ধানের বীজতলা কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান। এসময় চেয়ারম্যান জায়লস্কর ইউনিয়নকে খাদ্য ভান্ডার হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মামুনুর রশীদ মিলন বলেন, জায়লস্কর ইউনিয়নে ৪ হাজার ৭৫ একর জমি রয়েছে। মাত্র ৫শ একর জমিতে চাষ হচ্ছে, বাকী জমি পড়ে আছে। সেচের সুযোগ রয়েছে এমন সবগুলো জমিতে আবাদ চলবে। কেউ যদি চাষাবাদ করতে রাজি না হন তবে ইউনিয়নের আওতায় এনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাষ করবো।


মিলন বলেন, উৎপাদিত ফসল হতে বর্গা হিসেবে জমির মালিকের অংশ শোধ করে বাকী ফসল ইউনিয়নের অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ইউনিয়নের দায়িত্বে উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রনি মজুমদার জানান, সম্প্রতি সরকার আউশ ধান চাষাবাদে আগ্রহী করতে কৃষকদের জন্য প্রণোদনা দিয়েছে। জায়লস্কর ইউনিয়নে ৮৫ জন কৃষক প্রত্যেককে চাষাবাদের জন্য ৫ কেজি চাল, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পেয়েছেন।


তিনি জানান, প্রণোদনা পেলেও অনেক কৃষক নানা অজুহাতে চাষাবাদে যেতে রাজী হচ্ছিল না। এ প্রেক্ষিতে কমপেক্ট আকারে ৫০ জন কৃষকের জমি প্রস্তুতসহ সকল খরচ বহন করেছেন চেয়ারম্যান। তিনি জানান, একশ দিনের মধ্যে ফসল মানুষের ঘরে উঠবে।


সরকারি প্রণোদনাপ্রাপ্ত কৃষক শফিকুল হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দিনমজুর নেই, উৎপাদন খরচ বেশী। এ অবস্থায় চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত ও সহযোগিতায় আমরা চাষাবাদে যাচ্ছি।


বীজতলা কাজের উদ্বোধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আদিত্য মজুমদার, উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোশারফ হোসেন, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ জসিম উদ্দিনসহ ৫০ জন কৃষক।