গত রবিবার পেটে বিশাল টিউমার নিয়ে কনসেপ্ট হাসপাতালে আসেন এক রোগী। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপাচার না করলে দেখা দিতে পারে তার জীবন সংশয়, জীবন বাঁচাতে নেই বিকল্পও। করোনা ঝুঁকির মধ্যেও রোগীর জীবন বাঁচাতে অস্ত্রোপাচারের সিদ্ধান্ত নেন ফেনীর বেসরকারি কনসেপ্ট হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সফলও হয় তাদের অস্ত্রোপাচার। সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে শংকামুক্ত হন একজন রোগী।


এর আগে গত সপ্তাহে একজন গর্ভবতী মহিলার অস্ত্রোপাচার করে হাসপাতালের চিকিৎসকরা। রোগীর ভ্রুণ জরায়ুতে না এসে টিউবে থাকে এবং টিউব ফেটে গিয়ে প্রচুর রক্তপাত হতে থাকে। এতে তার জীবন সংশয় দেখা দেয়। তার জীবন বাঁচাতে পরিবারের অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারেন নি চিকিৎসকরা। সিদ্ধান্ত নেন এই ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপাচারের। সেটিও সফলভাবে সম্পন্ন হয়। বেঁচে যায় আরও এক মায়ের জীবন।


এভাবেই করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের দেখা মিলছেনা সেখানে জীবন বাঁচাতে লড়ে যাচ্ছেন কনসেপ্ট হাসাপাতালের চিকিৎসকরা।


ফেনী জেনারেল হাসপাতালের (সার্জারী) কনসালটেন্ট ও কনসেপ্ট হাসপাতালের সার্জারী টিমের প্রধান ডাঃ খলিলুর রহমান অপু। তিনি বলেন, গত রবিবার আমার ওই রোগীর সার্জারী করে টিউমার অপসারণের সিদ্ধান্ত নিই। অস্ত্রোপাচার করে তার পেট হতে একটি বিশাল আকারের টিউমার অপসারণ করতে সক্ষম হই। আমাদের এ তড়িৎ সিদ্ধান্তের ফলে রোগী এখন শংকা মুক্ত রয়েছেন। দলে আরও ছিলেন ডাঃ এরফান জামান হৃদয়, ডাঃ সাকিল আহামেদ, ডা. সাইফুল ইসলাম ও ওটি সিষ্টার তানিয়া।


এই সফল অস্ত্রোপাচারের জন্য রোগী পরিবার ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায় সার্জারী টিমের সদস্যদের।


হাসপাতালের গাইনী কন্সাল্ট্যান্ট ডাঃ রোকসানা আক্তার স্বপ্না জানান, গর্ভবতী মহিলাটির অবস্থাকে ডাক্তারি পরিভাষায় ভাষায় "রাপচার্ড এক্টপিক প্রেগন্যান্সি" বলে। অস্ত্রোপাচার না করলে তার জীবন সংশয় দেখা দিত। আমরা সফলভাবে অস্ত্রোপাচার করে সেই মায়ের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছি।


এ প্রসঙ্গে কনসেপ্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাহেদুল ইসলাম কাওসার বলেন, মানুষের বিপদে পাশে থাকলে মানুষের মন থেকে যে দোয়া আসে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সে দোয়াই আপনাদের নিয়ে যাবে সাফল্যের শিখরে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় সব সময় আপনার পাশে থাকবে কনসেপ্ট পরিবার, আল্লাহ আমাদের সহায় হোন যাতে আমৃত্যু মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যেতে পারি।