প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যার শিকার আয়েশা আক্তারের (১৫) লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আজ (২১ এপ্রিল) মঙ্গলবার বিকালে শহরের দেওয়ানগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।


অল্প সংখ্যক নিকট আত্মীয় এলাকাবাসী জানাযায় অংশ নেয়। এসময় আয়েশার পিতা মোঃ হানিফ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ওরা সবাই মিলে আমার মেয়েটাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়েশার এক ফুফা বলেন, আত্মহত্যার পুরো বিষয়টি এখনো আমাদের কাছে কুয়াশাচ্ছন্ন। তাই আমরা এখনই কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারছিনা। মেয়ের পিতা-মাতা দুজনই সন্তান হারিয়ে পাগলপ্রায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা আলোচনা করে অভিযোগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবো।


প্রেমিক আরমান এ আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের হাতে এখন পর্যন্ত শক্ত কোন প্রমাণ নেই তাই এই মুহুর্তে কিছুই বলতে পারছিনা।


জানাযায় অংশ নেওয়া এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, ঘটনার পর থেকে আরমানকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। আরমানের পিতাও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।


তারা দাবি করেন, এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আয়েশার আত্মহত্যার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া জরুরী।


উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার (২০ এপ্রিল) সোমবার ফেনী পৌরসভার উত্তর শিবপুর এলাকায় নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে আয়েশা আক্তার। সে শহীদ মেজর সালাহ্ উদ্দিন মমতাজ বীর উত্তম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনার পর আরমান ও আয়েশার প্রণয়ের কথা গণমাধ্যমে উঠে আসে।