নিজের সঞ্চিত সব অর্থ করো'নাদুর্গতদের জন্য করো'না তহবিলে দান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজর কেড়েছেন ভিক্ষুক নাজিম উদ্দীন।

নিজের ভাঙা ঘরটি মেরামতের জন্য বহুবছর ধরে টাকা জমিয়েছিলেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজে'লার এই বাসিন্দা। সেই অর্থই দান করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী অনেক খুশি হয়েছেন বলে তার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

দাতা ভিক্ষুক নাজিমের জন্য নতুন ঘর তৈরির ব্যবস্থা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে।

ঝিনাইগাতীর উপজে'লা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ জানান, উপজে'লার গান্ধীগাঁও গ্রামের ভিক্ষুক নাজিম উদ্দীন (৮০) তার বাড়ি বানানোর জন্য সঞ্চিত সব অর্থ দান করেছেন। এ সংবাদ নজরে আসে প্রধানমন্ত্রীর। পরে তাকে ফোন দেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব।

নির্দেশনা পেয়ে রাতেই সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাশেদুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে নাজিম উদ্দীনের বাড়ি যান রুবেল মাহমুদ।

সেখানে গিয়ে দেখতে পান, ভাঙা ঘর। কথা শুনে ভেতর থেকে কুপি হাতে বেরিয়ে আসেন নাজিম উদ্দীন। পরে বাড়ির কাগজপত্র দেখেন ইউএনও। বাড়ির জমি ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ। তাতেই ঘর তোলার জন্য টাকা জমাচ্ছিলেন বৃদ্ধ নাজিম।

ইউএনও রুবেল মাহমুদ বলেন, নাজিম সাহেবের ঘর তৈরির বিষয়ে সম্ভাব্য সব তথ্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির আওতায় নাজিম উদ্দীনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও করা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার সমকাল অনলাইনে ‘করোনা তহবিলে ১০ হাজার টাকা দান করলেন ভিক্ষুক’ শিরোনামে সংবাদ ও ছবি প্রকাশিত হলে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

আজ  শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব ঝিনাইগাতীর দানশীল ভিক্ষুক নাজিম উদ্দীনকে ব্যবসা করার জন্যে মুলধন প্রদান করেন। ইউএনও রুবেল মাহমুদ চিকিৎসাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর দায়িত্ব নেন নাজিম উদ্দিন ও তার স্ত্রীর।