করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সারাদেশে চলছে সাধারণ ছুটি। ফলে কর্মহীণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় ফেনীতে এ পর্যন্ত (২৯ এপ্রিল) সরকারি সহায়তা এসেছে ১৭শ ৪৮ টন চাল ও ৭৭ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে শিশুখাদ্যের জন্য। জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেন, অসহায় মানুষের খাদ্য সহায়তায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রয়োজনের ভিত্তিতে অব্যাহত থাকবে।


জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, জেলায় ৯৫ হাজার ৩৪৭ মানুষ খাদ্য সহায়তা পাবে, এতে চলবে তাদের পরিবার। সূত্র জানায়, শিশুখাদ্যের মধ্যে রয়েছে গুড়োদুধ, চিনি, খেজুর, সুজি, বল সাবান, টয়লেট সাবান।


জেলা প্রশাসক বলেন, ফেনী ছোট একটি জেলা এখানে যে পরিমাণ ত্রান এসেছে এতে একজন মানুষও না খেয়ে থাকার কোন সম্ভাবনা নেই। আমরা শুধু অনুরোধ করছি, যারা একবার নিয়েছেন তারা অন্যকে সুযোগ করে দেন। এ খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।


জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানায়, সহায়তার জন্য তালিকাভূক্তির সংখ্যা সদর উপজেলায় ২২ হাজার ৯৪ জন, সোনাগাজীতে ২৬ হাজার ৪০৩জন, দাগনভূঞায় ১১ হাজার ৯০০জন, ছাগলনাইয়ায় ১০ হাজার জন, ফুলগাজীতে ১২ হাজার ৯৫০জন এবং পরশুরামে ১২ হাজার জন।


সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ছয় উপজেলায় ১ হাজার ৬২০টন চাল ও ৭১ লক্ষ টাকা উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ২১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ৪৪৪ টন চাল ও শিশুখাদ্য ৩২০ প্যাকেট । ফেনী পৌরসভায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ৮০ টন চাল। সোনাগাজীতে ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, ২৮০ টন চাল ও ১৬০ প্যাকেট শিশুখাদ্য। দাগনভূঞায় ১০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, ২৬৩ টন চাল ও ১৬০ প্যাকেট শিশুখাদ্য। ছাগলনাইয়ায় ৯ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ২১৫ টন চাল ও শিশুখাদ্য ১৪০ প্যাকেট। ফুলগাজীতে ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা, ১৭৫ টন চাল ও ১২০ প্যাকেট শিশুখাদ্য এবং পরশুরামে ৬ লক্ষ ৫ হাজার টাকা, ১৪৫ টন চাল ও ১০০ প্যাকেট শিশুখাদ্য।


জেলা প্রশাসক বলেন, ছয় উপজেলায় চাহিদার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তালিকাভূক্তদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সহায়তা নিশ্চিত করতে তালিকায় যোগ হচ্ছে আরও মানুষ। যোগ হচ্ছে মধ্যবিত্ত।


তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা বন্টনের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করেই করা হচ্ছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে তালিকা করা হচ্ছে। সে তালিকা অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে প্রথম ধাপের সবার একবার পাওয়ার পর আবার দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্যক্তি আবার পাবেন।


জেলা প্রশাসক জানান, ত্রাণকার্য যাতে কোনোরকম অনিয়ম না ঘটে এবং সুষ্ঠভাবে চলে সেজন্য দশটি মনিটরিং টিম করা হয়েছে সে ক্ষেত্রে এ দশটি টিম পুরো জেলার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।


দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, সিএনজিচালক, পরিবহন শ্রমিক, প্রতিবন্ধী, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায় প্রত্যেকটা জায়গায় মানুষের ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।