দাগনভূঞায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ২য় নমুনার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুবাইয়েত বিন করিম জানিয়েছেন, গত ৩০ মে আক্রান্ত কর্মকর্তার ২য় দফায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। আজ মঙ্গলবার রাতে পরীক্ষার ফলাফলে তা নেগেটিভ এসেছে।


উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, কর্মকর্তার সংস্পর্শে আসা ৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম আমরা। এর মধ্যে ২৩টির ফলাফল আমার পেয়েছি। যার প্রতিটি নেগেটিভ এসেছে। এদের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তদন্ত কর্মকর্তার নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। আরও ২৩টির ফল বাকী আছে।


ডাঃ রুবাইয়েত বিন করিম বলেন, খুব শীঘ্রই ওই কর্মকর্তার ৩য় দফা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হবে। সেটি নেগেটিভ এলে তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে ধরে নেয়া হবে। তিনি বলেন, দাগনভূঞায় আক্রান্ত দুজনই সুস্থ আছেন।


ট্রমা সেন্টারের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ফেনী করোনা সমন্বয়ক ডাঃ কাজি সানজিদা জানান, আক্রান্ত হবার পর দুইবার নমুনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ আসলে ওই ব্যক্তি করোনা মুক্ত হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়।


এর আগে গত ৩ মে দ্বিতীয়বারের নমুনা পরীক্ষায় ফেনী কোভিড হাসপাতালে (ট্রমা সেন্টার) চিকিৎসাধীন কোভিড-১৯ আক্রান্ত প্রথম দুই ব্যক্তির ফলাফল নেগেটিভ আসে। তৃতীয় দফা তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে তাদের সম্পূর্ণ সুস্থ বলে ঘোষণা দেয়া হবে।


গত বুধবার (২৯ এপ্রিল) দাগনভূঞায় দুইজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের মধ্যে একজন মহিলা আর অপরজন পুরুষ।


এর আগে গত ১৬ এপ্রিল ফেনীর ছাগলনাইয়ায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর ২০ এপ্রিল সোনাগাজীতে ২য় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। তাদের কোভিড হাসপাতালে এনে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত ফেনীতে ৪জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।