সারাদেশে করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফেনীতে গত শুক্রবার একদিনে ৪৭জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলা মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৬জনে।

কিন্তু গতকালকের প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, একই ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা নমুনা দিচ্ছেন। এমনকি করোনা পজিটিভ রোগী লকডাউন ভেঙে পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন জায়গায় নুমনা দিচ্ছেন, যা সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর সাথে সাংঘর্ষিক।


এতে করে জেলার স্বাস্থ্য সেবায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবার আশংকা দেখা দেয়ায় সিভিল সার্জন ফেনীর ফেইসবুকে নমুনা প্রদানকারীদের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে। এসব নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবার কথা জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন।


তিনি প্রত্যেক নমুনা প্রদানকারী বা প্রদানে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত নির্দেশনা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। তা হলঃ


১. একই ব্যাক্তি বিভিন্ন জায়গায় স্যাম্পল প্রদান করতে পারবেন না। প্রদান করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


২. চিকিৎসকগণ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাক্তি (চিকিৎসকের সন্দেহ হলে) নমুনা সংগ্রহের জন্য বিবেচিত হবেন।


৩. চিকিৎসক কর্তৃক নির্ধারিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ নমুনা দিতে পারবে না।


৪. নমুনা প্রদানকারী ব্যক্তির নমুনা দেয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই সেইক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এর নির্দেশনা অনুযায়ী নমুনা প্রদান করবেন।


৫. নমুনা প্রদানকারীর নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সঠিক হতে হবে।


৬. নমুনা প্রদানকারী ব্যাক্তিকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে।


৭. নমুনা প্রদানকারী ব্যক্তিকে রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত হোম কোয়ারেনটাইন মেনে চলতে হবে।


৮. হাসপাতাল কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে স্যাম্পল প্রদান করতে হবে।


৯. সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ অনুযায়ী যদি কোনো ব্যাক্তি
(ক) মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,ক্ষমতা অর্পণ অনুযায়ী)তাহার উপর অর্পিত কোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন, এবং


(খ) সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার(উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,ক্ষমতা অর্পণ অনুযায়ী) কোনো নির্দেশ পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন,তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।