করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সোনাগাজীতে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ পৌরসভা ও মতিগঞ্জ ইউনিয়নকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিকালে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেব।

তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবারের প্রথম প্রহর হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এলাকাগুলো সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়েছে।

ইউএনও বলেন, আজ পর্যন্ত পৌরসভায় সর্বোচ্চ ২৯জন এবং মতিগঞ্জে ২৭জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। উপজেলা জুড়ে এর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। তাই জনস্বার্থ বিবেচনা করেই এলাকাগুলো অবরুদ্ধ করা হচ্ছে।

অজিত দেব বলেন, লকডাউনকৃত এলাকাগুলো হতে কেই অন্য এলাকায় যেতে পারবে না এবং অন্য এলাকা হতে কোন লোক প্রবেশ করতে পারবে না। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জারীকৃত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পৌরসভা ও মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত সীমানাপথগুলো বন্ধ থাকবে। এছাড়া সোনাগাজী-ফেনী সড়কসহ তিনটি আঞ্চলিক সড়কে চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে। তবে জরুরী খাদ্য, সরকারি গাড়ি, চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহকারী গাড়ি এর আওতামুক্ত থাকবে। ওইসব চিহ্নিত এলাকায় জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত কোন লোক লকডাউন এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়া যাবে না। তবে জরুরী প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে জরুরী খাদ্য, সরকারি গাড়ি, চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহকারী গাড়ি লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।

এছাড়া সপ্তাহে দুদিন সকাল আটটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাঁচা বাজার সবজি, মুদি দোকান, সার বীজ, মৎস্য, পশু খাদ্যের দোকান খোলা থাকবে। ফার্মেসী সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাকিং কার্যক্রম চলবে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ২০ এপ্রিল সোনাগাজীতে প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। দুই মাসে উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত করা হয়েছে ১৩জনের। আর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬জন।