অনিয়মে বেসামাল ডাঃ হায়দার ক্লিনিক। ১০ বেডের লাইসেন্স থাকলেও ১৮ বেডে চলছে হাসপাতাল। অনুমোদন ছাড়াই চলছিল কেমোথেরাপি ও ডায়ালাইসিস ইউনিট। অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজি বিভাগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার করুণ দশা। নেই সেবার মূল্য তালিকা। এতসব অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার জন্য ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। 

আজ শনিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ক্লিনিকটিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন ফেনী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোতাছেম বিল্যাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সেলিম চিশতিয়া।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ডাঃ হায়দার ক্লিনিকে ১০ শয্যার হাসপাতাল অনুমোদন থাকলেও অতিরিক্ত ৮ শয্যা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া কেমো ও ডায়ালাইসিস ওয়ার্ড সিলগালা করা হয়েছে। তিনি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনুমোদন ছাড়াই এসব কর্মকান্ড পরিচালনার কথা স্বীকার করেছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, অতিরিক্ত বেডে ভর্তিকৃত রোগীদের যতটুকু সম্ভব নিরাপদে অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিকেল প্র‍্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি ( নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ৩ ও ৯ ধারা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন -২০০৯ এর ৩৯,৫২ ও ৫৩ নং ধারা লংঘনের অপরাধে ক্লিনিকের মালিককে উক্ত টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের লাইসেন্স আর নবায়ন না করে বাতিলের পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রসিকিউটর মোঃ সেলিম চিশতিয়াকে বলা হয়েছে।