চীনা কোম্পানিকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ঢাকায় ব্রিফিং করে বলেছেন, "আমরা ট্রায়াল করতে দিবো। তবে যারা স্বেচ্ছায় আসবে তাদেরকেই ট্রায়াল করতে দেয়া হবে। আর অগ্রাধিকার পাবে ডাক্তার, নার্সসহ যারা স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত তারা"।

তিনি বলেন, "আমরা ট্রায়াল চালাতে দিবো। কিন্তু ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেসব দেশ পাবে তার ওপরের দিকেই বাংলাদেশের নাম থাকতে হবে। আর এ সংক্রান্ত খরচও তারা বহন করবেন"।

এর আগে গত ২০শে আগস্ট করোনাভাইরাসের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাংলাদেশে হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে বিবৃতি দিয়েছিলো বাংলাদেশের কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

কমিটি তখন বলেছিলো বাংলাদেশের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই ট্রায়াল বাংলাদেশে চালানো উচিৎ।

আজ ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন ভ্যাকসিন যারাই করুক ট্রায়াল এখানে করতে তো দিতেই হবে এবং ভ্যাকসিনের বিষয়ে সব প্রস্তাব বা অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।

বিশেষ করে চীনের, ভারতের এমনকি অক্সফোর্ডের টিকার বিষয়েও অগ্রগতি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন বাংলাদেশে মন্ত্রণালয় ও আইসিডিডিআরবির সহায়তা ট্রায়াল কার্যক্রম চালাবে চীনা কোম্পানি।

"আমরা চীনা কোম্পানি ও রাষ্ট্রদূতকে জানিয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশে থাকা চীনের নাগরিক ও দূতাবাসের লোকদের ওপরও ট্রায়াল করবে কোম্পানিটি। আমরা তাদের বলেছি যে আপনার ট্রায়ালের ব্যবস্থা করুন," বলছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

চীনা সরকার ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সাথে আলোচনা করে তারা (বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস) দ্রুত ট্রায়ালের ব্যবস্থা করবে বলেও জানান তিনি।