পৈত্রিক সম্পত্তি দখল ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতার আশংকা প্রকাশ করে ফেনী সদরের শর্শদি ইউনিয়নের মোঃ কামাল উদ্দিনের করা অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন একই এলাকার আবু আহম্মদ নামে অপর এক ব্যক্তি।

আজ সোমবার (৩১ আগস্ট) এ নিয়ে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আবু আহাম্মদ ও তার স্বজনরা।

সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে কামাল উদ্দিনের আনীত অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্পত্তি দখলের অভিযোগটি সঠিক নয়। তাদের পূর্বপুরুষরা ৪৫ বছর আগে আমাদের কাছে বসত ভিটাসহ সম্পুর্ণ সম্পত্তি বিক্রি করে ঢাকায় চলে যায়। আমাদের কাছে জমি বিক্রির দলিল রয়েছে।

সম্মেলনে আবু আহাম্মদ জমি জবর দখলের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমরা ১২০ শতক ভূমি জবর দখল করেছি মর্মে কামাল উদ্দিন অভিযোগ করলেও মামলায় কামাল উদ্দিন গংরা ২৪ শতক ভূমির মালিকানা দাবী করেছে। তিনি বলেন, এটি কামাল উদ্দিনের অপকৌশল। মামলায় জেতার সম্ভবনা না থাকায় তারা আমাদের ঘায়েল করতে তারা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে।

অন্যদিকে কামাল উদ্দিনের বোন হাজেরা বেগমের মৃতদেহ সৎকারে গ্রামে বাধা ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমরা কেউ জড়িত নই। কে বা কারা হামলা করেছে আমরা এ ব্যাপারে অবগত নই। এত আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। সম্মেলনে তিনি একই দিন কামাল উদ্দিনের আপন জেঠি অন্য এলাকায় মৃত্যুবরণ করলেও তাকে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে দিয়েছি। তার বোনের লাশ দাফন করতে বাধা দেব কেন।

তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে সঞ্চিত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এসব মিথ্যা ঘটনা উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগের বিষয়ে আবু আহম্মদ বলেন সেটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা। থানার তদন্ত কর্মকর্তা এর কোন সত্যতা পান নি।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তার ভাই মুক্তিযোদ্ধা সফিউল্লাহ, জেঠাতো ভাই আবদুল জলিল, ভাতিজা মোহাম্মদ উল্লাহ, মোসলেহ উদ্দিন শামীম প্রমুখ।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট পৈত্রিক সম্পত্তি দখল ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতার আশংকা প্রকাশ করে ফেনীতে সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকায় বসবাসরত ফেনী সদরের শর্শদি ইউনিয়নের মোঃ কামাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। সম্মেলনে বসত ভিটা, জমি দখল, হামলা ও হুমকির জন্য একই গ্রামের আবদুল জলিল ও তার ছেলে মেজবাহ উদ্দিন সম্রাট, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা নুর হোসেন সোহাগ, আবু আহাম্মদ, আনোয়ার উল্যাহ ও তার ছেলে ঢাকায় পুলিশ বিভাগে কর্মরত আবু সাইদ রাহাত এসব ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি।

কামাল উদ্দিন সম্মেলনে জানান, চলতি বছরের এপ্রিলে বোন হাজেরা বেগমের মৃতদেহ সৎকারে গ্রামে এলে পরিবারের আরও সদস্যসহ বেধড়ক পিটুনির শিকার হন। এসময় করোনা মৃত গুজব রটিয়ে গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ফেনীর সুলতানপুরে পৌর কবরস্থানে মৃতের দাফন সম্পন্ন হয়।