ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেছেন, শিশু ও নারী উন্নয়ন এবং নারীর সামজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা মানুষের অসচেতনতা।

আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ফেনী জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শিশু ও নারী নির্যাতনের যে সমস্ত ঘটনাগুলো আমাদের সম্মুখে আসছে তার অধিকাংশই আমাদের অসচেতনতার ফল। অপরাধ নির্মূলে সরকারের পক্ষ থেকে যতই পদক্ষেপ নেয়া হোক মানুষ সচেতন না হলে কোন পদক্ষেপই যথাযথভাবে কার্যকর করা সম্ভব নয়। মানুষ যদি সচেতন হত নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ অনেকটা সহজ হয়ে যেত।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতাই পারে নারী ও শিশু নির্যাতন, বাল্যবিবাহসহ সকল ধরনের সহিংসতা রোধ করতে। নারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে নারীকেই বেশি সচেতন হতে হবে। কোথাও যাওয়ার পূর্বে সেখানকার পরিস্থিতি ও পরিবেশ কতটুকু নিরাপদ সে বিষয়ে আগে থেকে ধারণা নিয়ে তবেই যেতে হবে। নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে ও সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করতে একটা শ্রেণির মানুষরূপী অমানুষ ওঁত পেতে থাকে।

সিলেটের এমসি কলেজের ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, ইতোমধ্যে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়েছে বিচারও হবে। কিন্তু ঐ নারীর যে ক্ষতি সাধিত হলো তা অপূরণীয়।

তিনি বলেন, অভিভাবকগণ নিজেদের সন্তানদের নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ইতিবাচক শিক্ষা দিবেন। অভিভাবকরা সচেতন হলে ছেলে-মেয়েরা মনস্তাত্ত্বিকভাবে ভালো চিন্তাধারা সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে ব্যক্তি ও সামাজিক পর্যায়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি

ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরীন সুলতানা। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য অফিসার রেজাউল রাব্বি মনির। এতে অংশ নিয়েছে শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী সহ ৪০জন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।