ফেনী ত্যাগের সময় ধর্ষণ বিরোধী লংমার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার (১৭ অক্টোবর) শহরের কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির ফেনী জেলা সাধারণ সম্পাদক মহিবুল হক চৌধুরী রাসেল দাবি করেন, হামলায় ১২ জন আহত হয়েছে। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানাতে পারেন নি। কারা হামলা করেছে তা স্পষ্ট না করলেও দাবি করেন, ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এ হামলা করা হয়েছে।

এর আগে সকাল ১০টায় ফেনী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে প্রগতিশীল জোট। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, নারী মুক্তি কেন্দ্র, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ ফেনীর চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, উদীচী ফেনী জেলা সংসদ।

সমাবেশ চলাকালীন অংশ নেয়া কিছু যুবক সমাবেশ স্থল হতে বের হয়ে এসে ট্রাংক রোডের দোয়েল চত্ত্বরে ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্ল্যাকার্ডে রং মেখে দেয় এবং ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য লেখে। কর্মসূচি বহির্ভূত এ কার্যকলাপে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের নিজেদের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। এছাড়াও একপর্যায়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সাথে তাদের বাক বিতন্ডা হয়। এসময় ফেনী সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান ও ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। একই সময়ে সমাবেশে একাধিক বক্তা সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে তীব্র উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান করে।

লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সমাবেশ ও প্রচারাভিযান করে ফেনী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের দিকে লংমার্চ যাওয়ার সময় কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গেলে কয়েকজন কয়েকজন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এসময় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে হৃদয়, শাহাদাত, অনিক, জাওয়াদসহ ১২ জন আহত হয়।

একাত্তর টিভি ফেনী প্রতিনিধি জহিরুল হক মিলু জানান, হামলাকারীরা দায়িত্বরত অবস্থায় তার মোবাইল কেড়ে নেয় এবং ভেঙ্গে ফেলে।

লংমার্চকারীরা জানান, সমাবেশে সরকার ও ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে বক্তব্য দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর হামলা করা হয়। তারা দাবি করেন, হামলাকারীরা সরকার দলের লোক।

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ফেনী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ফেনীতে সমাবেশের পরিচালক পংকজ নাথ সূর্য বলেন, এ হামলা ন্যক্কারজনক। হামলা করে আন্দোলন দমিয়ে দিতে চায় সন্ত্রাসীরা।

‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ আন্দোলনের কর্মী আসমানী আক্তার আশা অভিযোগ করেন, পুলিশ আমাদের সাথে থাকা সত্ত্বেও এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা আমাদের উপর চর্তুদিক হতে লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।