বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগি সংগঠন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য (২) হয়েছেন ফেনীর সোনাগাজীর কৃতি সন্তান মনজুর আলম শাহীন।

আজ শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন শাহীন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্কুল জীবন থেকেই শাহীন আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ওতপ্রোতভাবে। তার রাজনৈতিক জীবন ও কর্ম বর্ণময়। ১৯৮০-৮১ সালে তিনি ফেনী পাইলট হাই স্কুল ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮২-৮৩ সালে ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পাশে মনজুর আলম শাহীন

মেধাবী এই ছাত্রনেতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী যুবলীগের নানক-আজম কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এসময় ঢাকা বিভাগের সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হলে তা তিনি দক্ষতার সাথে পালন করেন এবং ১/১১ পরবর্তী সময়ে তার ভূমিকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজর কাড়ে।

ফেনীর এ কৃতি সন্তান কৈশোর হতেই বিপ্লবী ছিলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী পাইলট হাই স্কুল মাঠে এরশাদ সরকারের সামরিক বাহিনী কর্তৃক ব্যাপক নির্যাতিত ও গ্রেফতার হন। একই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জামায়াত-শিবির ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বহুবার হামলা-মামলার শিকার হন।

তার বড়ভাই মোঃ শাহ আলম ফেনীর একজন কৃতি সন্তান। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা।

মনজুর আলম শাহীনের স্ত্রী শামীমা আক্তার ফেন্সী চট্টগ্রাম বিশ্বাবিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি স্বনামধন্য একটি ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদে কর্মরত। তার দুই কন্যার মধ্যে বড়জন বর্তমানে কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে সংগঠনটির সভাপতি পদে আসেন শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসেন মাঈনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণার এক বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে ২০১ জনের।