ফেনী সদরের ফাজিলপুরে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের কারণে রাশেদা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ করেছে তার পরিবার। রবিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকল কলেজে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাশেদার পিতা বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে শাশুড়ী, দেবর ও ননদসহ ৭ জনকে আসামী করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক ওসমান গণি জানান, মামলা দায়েরের পর এ ঘটনায় পুলিশ রাশেদার ননদ মাজেনা আক্তার, দেবর রাশেদ উদ্দিন ও নোমান উদ্দিন নামে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

রাশেদার বাবা আবুল কালাম জানান, প্রায় দু বছর আগে আমার মেয়ে রাশেদার সাথে দক্ষিন ফাজিলপুর গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে প্রবাসী রায়হান উদ্দিন রুবেলের বিয়ে হয়। জামাই বিদেশ থাকাকালীন সময়ে তার মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে প্রায়ই যৌতুকের জন্য রাশেদাকে চাপ দিতে থাকে। এছাড়া স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে দেবর রাশেদ উদ্দিন রনি বিভিন্ন সময় কু প্রস্তাব দিত। গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য রাশেদাকে চাপ দেয় শাশুড়ীসহ পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা সকলে মিলে রাশেদাকে কিলঘুষি মারে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে তার মাথা ধরে দেয়ালের সাথে আঘাত করলে মারাত্মকভাবে আহত হয়।

তিনি জানান, ঘটনার পর প্রথমে এলাকার একজন পল্লীচিকিৎসক দেখানো হয়। খবর পেয়ে আমরা তাকে শশুর বাড়ী থেকে নিয়ে ফেনীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে প্রথমে ভর্তি করি। এখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ো যাবার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। সেখানে গতকাল গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদা মারা যায়। আজ বিকালে তাকে আমাদের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন এ ঘটনায় মামলা দায়ের ও তিনজনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।