ফেনী জেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খায়রুল বাশার মজুমদার তপনের প্রার্থীতাকে বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন পাটোয়ারি তার প্রার্থীতা বৈধ বলে ঘোষণা করেন।

সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বিকম, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম মজুমদার, পরশুরাম পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেলসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তপনের সঙ্গে ছিলেন ।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তর হতে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে অনাপত্তি থাকায় তাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, বিজয়ী ঘোষণা করতে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কোন কারণে যদি তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে থাকেন, তবে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

এসময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে খায়রুল বাশার মজুমদার তপন বলেন, দায়িত্ব পেলে আমার অভিভাবক আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাছিম ভাই এবং ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর সহযোগিতায় জেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরীর অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে চেষ্টা করব।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম বলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অনেক বড় একটি পদ। তপন সঠিক সময়ে এ সম্মানের জায়গায় আসতে পেরেছে।

ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, আমাদের নেতা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাছিম ভাই এবং নিজাম উদ্দিন হাজারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের জন্য তপন ভাই যে মূল্যায়ন তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

পরশুরাম পৌর মেয়র সাজেল চৌধুরী বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে দলের জন্য অনুপ্রেরণা আমরা তার কাছ থেকে পেয়েছি। জীবনে প্রথমবারের মত খায়রুল বাশার মজুমদার তপন ভাই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে জেলা পরিষদ উপ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন তপন ও শনিবার মনোনয়ন দাখিল করেন তিনি।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ১৫ নভেম্বর। আর রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ছিল ১৭ নভেম্বর, আপীল দায়ের ১৮-২০ নভেম্বর, আপীল নিষ্পপ্তি ২১-২২ নভেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৩ নভেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ২৪ নভেম্বর।

ঘোষিত তফসিল মতে ১০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৫ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র জমার দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত খায়রুল বাশার মজুমদার তপন ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি।