কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষুব্ধ যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ রবিবার (৬ ডিসেম্বর) রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এ দুই সহযোগি সংগঠন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকালে শহরের দোয়েল চত্ত্বরে আয়োজিত সমাবেশে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করে বলেন, দেশ যতদিন থাকবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যও থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলার জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা থামানোর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা আবার ষড়যন্ত্র করছে। সকলে মিলে এ অপশক্তিতে প্রতিহত করতে হবে।

সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধীতাকারী মামুনুল হককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পাশাপাশি ফেনীতে এলে তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন জেলা যুবলীগ সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন। তিনি বলেন, ফেনী- ২ আসনের সাংসদ নিজাম হাজারীর ফেনীতে জঙ্গীবাদের স্থান নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এ দেশ যতদিন থাকবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যও থাকবে। যেকোন সময় স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হবে। এসময় কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর কারীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য আবদুর রহমান বিকম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি করিম উল্ল্যাহ্ বিকম, সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আয়নুল কবির শামীম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন ফিরোজ।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার জর্জের পরিচালনায় সমাবেশে ফেনী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিয়াউল আলম মিস্টার, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আহমেদ রিয়াদ আজীজ রাজীব, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আবসার আপন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন রিন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন ফিরোজসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান বিকম বলেন, ১৯৫২ সাল থেকেই একটি গোষ্ঠী সবসময় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল। এখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলার জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা থামানোর লেবাসধারীরা আবার ষড়যন্ত্র করছে। এসময় তিনি স্থানীয় মসজিদের খতিবরা যেন কোন ধরনের উস্কানি ও বিভ্রান্তিমূলক খুতবা না দেন সে বিষয়ে উপস্থিত সকলকে নজর দেবার আহবান জানান।

শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, যেখানে বিশ্বের অনেক বড় বড় ইসলামিক দেশগুলোতে ভাস্কর্য রয়েছে, সেখানে আমাদের দেশে এ ষড়যন্ত্র কেন।

সমাবেশের আগে ফেনী পৌর চত্ত্বর হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের জেল রোড, ট্রাংক রোড, বড় মসজিদ ঘুরে জিরো পয়েন্টের দোয়েল চত্ত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে ফেনী পৌর ও সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী অংশ নেন।

অন্যদিকে জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।