ফেনীতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারী হতে টিকাদান শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন।

দৈনিক ফেনীকে সিভিল সার্জন জানান, ‘সুরক্ষা’ নামক অনলাইন এ্যাপস’র মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেই এ ভ্যাকসিন মিলবে। ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রধিকার পাবে সকল স্বাস্থ্যকর্মী, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, মুক্তিযোদ্ধা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন বলে জানান তিনি। অগ্রাধিকার প্রাপ্ত ব্যক্তিদেরও অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহবান জানান তিনি।

সিভিল সার্জন জানান, ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ৩৫ জন টিকাদান কর্মীকে আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেবে স্বাস্থ্য বিভাগ। ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ইতোমধ্যে ১৮টি বুথ স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য জেলার পাঁচ উপজেলায় দুইটি করে মোট ১০টি এবং ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আটটি বুথ স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিটি বুথে দুই জন টিকাদানকারী ও চার জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুুত করা হচ্ছে বলে ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন জানান।

সব ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারীর ৭ তারিখ থেকে করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছে ফেনী জেলার বাসিন্দারা। তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। প্রথম ধাপে বিনামূল্যে ৪৮শ ভায়ালে ৪৮ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন বিতরণ করা যাবে।

ভ্যাকসিন মজুদ রাখা হয়েছে সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই স্টোরে। ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে ১৮টি দল কাজ করবে।

গতকাল রবিবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে ফ্রিজআপ ভ্যানে করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ফেনীতে পৌঁছে করোনা ভ্যাকসিন। এরপর সিভিল সার্জনের কাছে এ ভ্যাকসিন হস্তান্তর করে বেক্সিমকো গ্রুপ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এনএম আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রবিউল ইসলামসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।