ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে আনন্দ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা করেছে ফেনী মডেল থানা। গতকাল রবিবার (৭ মার্চ) বিকালে থানা চত্ত্বরে আয়োজিত সভায় স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে একযোগে কাজ করা অঙ্গীকার করেন।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান। বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বিশ্বে অনেক নেতা এমন বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এ অলিখিত ভাষণই সকলের সেরা। তিনি সকল প্রকার নির্দেশনা এ ভাষণে দিয়েছেন।

মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানকেকে যে চিনতে পারেনা, সে স্বাধীনতা ও দেশকে চিনতে পারেনা। সে দেশদ্রোহী। দেশের প্রতি তার কোন আনুগত্যই নাই। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের শুধু দিয়েই গেছেন। আমাদের অর্জন অনেক শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জনকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত ভাগ্যবান। কারণ আমরা স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী ও সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে পারছি।

৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, এ ভাষণে দেশের উন্নয়নের সকল প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ ছিলো। এটি শুধু স্বাধীনতা নয়, এখানে স্বাধীনতা অর্জনের পর তা রক্ষার মূলমন্ত্রও ছিল। তিনি বলেন, তারই যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত হিসেবে দেশ গড়ব। বক্তব্যে প্রত্যককে নিজ নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতা করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে কাজ করতে আহবান জানান খোন্দকার নূরন্নবী ।

অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমাদের অধিকার চাই। বঙ্গবন্ধু তার কথা রেখেছেন। পাকিস্তানীদের দেয়া প্রলোভনে ভেসে যান নি। এত নির্যাতনেও কাবু হয়নি।

ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিমল কান্তি পাল বলেন, উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এডভোকেট হাফেজ আহাম্মদ, সহ-সভাপতি এডভোকেট প্রিয়রঞ্জন দত্ত, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আয়নুল কবির শামীম, সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান একে শহিদুল্লাহ্ খোন্দকার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা এএস সাহেদুল হক বুলবুল। পূবালী সাংস্কৃতিক সংগঠনের ইকবাল ফয়সাল বাপ্পির পরিচালনায় সভায় ইউপি চেয়ারম্যানদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোটবী ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ এলএলবি।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতোয়ার রহমান, পিবিআই'র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সদর উপজেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


একই ভাবে জেলার সকল থানায় একযোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষ্যে থানাগুলোতে বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়।