যথাযথ মর্যাদায় ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফেনীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বুধবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করে ফেনী জেলা প্রশাসন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান।

এর আগে দিবসের প্রথম প্রহরে শহরের জেল রোডস্থ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু শুরু করা হয়।
দিবসটি ঘিরে ফেনীতে বিরাজ করছিল আনন্দ ও উদ্দীপনা। এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুজজামানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবীর নেতৃত্বে পুলিশ কর্মকর্তারা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার মজুমদার তপন, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কমকর্তারাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে বিভন্ন শেণি পেশার লোকজন।

সকাল ১০টায় র‌্যালী সহযোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী ও দলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্ততবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আরও শ্রদ্ধা জানায় জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরপর ফেনী পৌরসভাস্থ লিবার্টি মার্কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কেটে একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান নেতাকর্মীরা। সেখানে আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শহীদ উল্যাহ খোন্দকারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট হাফেজ আহাম্মদ।

এরপর সকাল সাড়ে দশটায় ফেনী সরকারি কলেজ মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। সভায় দেশকে নেতৃত্বে দিতে তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জানা ও মেনে চলার আহ্বান জানান বক্তারা।

দুপুরে জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল, এতিমখানা, কারাগার, শিশু সদন, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু ডে কেয়ার সেন্টারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মসজিদ, মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। দুপুর আড়াইটায় ভাষা শহীদ সালাম স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগের উদ্বোধন করা হয়।

একইভাবে জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও নানা কর্মসূচিতে দিনটি পালন করেছে প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলার সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।