নতুন ধাপে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) দেশের ২৯ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ২০ জেলায় সংক্রমণের হার অনেক বেশি। এ তালিকায় রয়েছে ফেনীও।

আজ সোমবার (২৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতেরর মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ বেশি এমন ২০ জেলার নাম গণমাধ্যমকর্মীদের ইমেইলে পাঠানো হবে।’ তবে জেলাগুলোর নাম বিস্তারিত না বলে কয়েকটি নাম উল্লেখ করেন তিনি। বেশি সংক্রমিত ২০ জেলা হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীঘঞ্জ, ফেনী, চাঁদপুর প্রভৃতি।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ জেলাগুলোয় কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে কী ব্যবস্থা নেওয়া সেটি নিয়ন্ত্রণ কমিটি ঠিক করবে। তবে আমরা বিষয়টি মনিটরিং করব।’

সেব্রিনা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, প্রথম দিকে নতুন করে করোনা সংক্রমণের জেলা ছিল ছয়টি। ২০ তারিখে সেটি ২০ জেলায় পেয়েছি এবং ২৪ তারিখে পেয়েছি ২৯ জেলায়। সুতরাং করোনা সংক্রমণ বেড়েই যাচ্ছে।’

ঢাকায় করোনা রোগীর চাপ বাড়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ডা. সেব্রিনা বলেন, ‘সব রোগী ঢাকার নয়। ঢাকার বাইরে থেকে রোগী আসায় স্বাভাবিকভাবে রোগীর চাপ বেশি।’

‘ঢাকার বাইরে থেকে রোগী আসায় ঢাকার হাসপাতালগুলোতে চাপ পড়ে। ঢাকার বাইরেও চিকিৎসার সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।’

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘ঢাকার বাইরে থেকে রোগী আসায় দুটো সমস্যা হয় ঢাকার ওপর চাপ পড়ে এবং দূর থেকে রোগী আসায় আস্তে আস্তে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪৫ জন। এ ছাড়া একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৮১ জন। যা দেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, এর মধ্যে ৫ হাজার ১৮১ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ৬ লাখ ৮৯৫ জনের মধ্যে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে শনাক্তের সংখ্যা ১৩ দশমিক ১।