জেলা পর্যায়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (৪ এপ্রিল) সকালে নিজ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুজজামান। সভায় জেলায় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ও সংক্রমণের বিস্তার রোধে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় গত ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত ১৮ দফা নির্দেশনা প্রচার প্রচারণা ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। করোনা ভাইরাস উপসর্গ দেখা দিলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা এবং বিদেশ ফেরতদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিন নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারের নির্দেশনা প্রচার ও কোয়ারেন্টাইন কার্যকরে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সকলকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে বলা হয়।

এছাড়া মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি প্রদানের বিষয়ে সভায় উপস্থিত সকলের একমত পোষণ করেন। এটি বাস্তবায়নে জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।

সভায় জানানো হয় হোটেল, রেস্টুরেন্ট বসে খাওয়া যাবে না। পার্সেল যোগে বিক্রি করা যাবে। এছাড়া মসজিদসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ইমাম ও পুরোহিতগণকে কার্যকরি ভূমিকা রাখতে বলা হয় এবং বিষয়টি তদারকি করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ইতোমধ্যে একাধিক সভা করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেষ্ট থাকতে হবে। এ ব্যাপারে শহরে মাইকিং করা হয়েছে। কেউ যদি নির্দেশনা অমান্য করেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি জানান, জনসমাগম বন্ধে সভা, সমাবেশসহ কমিউনিটি সেন্টারে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। নিজেকে রক্ষা করার জন্য এগুলো মেনে চলতে হবে। তাহলে ফেনীতে করোনা সংক্রমণের হার কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক।

সভায় কমিটির অন্যান্য সদস্যরাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।