করোনা সংক্রমণ রোধে আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী লকডাউন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফেনী শহরের বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। আজ দুপুরে শহরের বড় বাজার, এফ রহমান এসি মার্কেট, গ্র্যান্ড হক টাওয়ার এবং শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপনী বিতান ঘুরে ব্যবসায়ীদের মাঝে লকডাউন নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়।

করোনার প্রকোপ বাড়ছে এমনটা স্বীকার করলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাধারণ মধ্যবিত্তের দুদিকেই মৃত্যু। বন্ধ থাকলে না খেয়ে মরতে হবে। খুললে সংক্রমণের আশংকা বাড়বে।

বড় বাজারের নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম দৈনিক ফেনীকে বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের সারা বছরের ব্যবসা হয় এই সময়ে, ঈদের আগের দুই মাসে। গত বছরও করোনার কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এবারও যদি এই সময় মার্কেট বন্ধ থাকে, তাহলে তো আমাদের পথে বসে যেতে হবে। করোনার আগে অভাব আমাদের মেরে ফেলবে।

একই স্থানে আলী বস্ত্রালয়ের স্বত্ত্বাধিকারী বলেন, সকালে এসে দোকানের সামনে অবস্থান করছি। খুললে আবার জরিমানা করবে। ওই ভয়ে বসে বসেই দিন পার করছি।
গ্র্যান্ড হক টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন শাহীন দৈনিক ফেনীকে বলেন, এতটাকা বিনিয়োগ করেও এ পরিস্থিতিতে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। প্রথম সপ্তাহের লকডাউনে আমরা ব্যবসায়ীরা দোকানপাট না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু পরবর্তীতে আবার সময় বাড়ালে আমরা আর বন্ধ রাখব না।

স্বাস্থ্যবিধি প্রসঙ্গে তিনি করেন, যেভাবে বিশেষ বিবেচনায় শিল্প-কারখানা চালু রাখা হয়েছে, সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হোক।

আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে এফ রহমান এসি মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মো. আবদুল্লাহ্ দৈনিক ফেনীকে বলেন, এবারও লকডাউনের সময় বাড়ানো হলে ব্যবসায়িকভাবে বড় ক্ষতির মুখোমুখি হবো।

এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশে গত বছরের ২৬শে মার্চ থেকে দুই মাস সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন শহরের সব মার্কেট শপিংমল বন্ধ রাখা হয়েছিল।