করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন। লকডাউনের আওতামুক্ত রয়েছে কাঁচাবাজার সহ জরুরী সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার পরিচালনা করার নির্দেশনা থাকলেও সে নিয়ম মানছেন না কেউ। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ের জন্য লকডাউনেও বাজারে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু পরিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না ক্রেতা বিক্রেতারা।

আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ফেনী বড় বাজারের তরকারি বাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতা বিক্রেতা অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মাস্ক পড়ার হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এতে করে সংশয়ে রয়েছেন একাধিক ক্রেতা।

রহিম উল্ল্যাহ নামে একজন ক্রেতা বলেন, আমি স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসেছি। কিন্তু আমি একা মানলে তো হবে না আমি যার থেকে ক্রয় করছি এবং বাজারে আমার আশেপাশে থাকা অন্যদের মানতে হবে। তিনি বলেন, বাসার বাজারের জন্য ঝুঁকি নিয়ে হলেও তো আসতে হবে কিন্তু সামাজিক দুরুত্ত্ব ও মাস্ক পরিধান করলে এত সংশয় কাজ করতোনা।

মোঃ সুমন নামে অপর ক্রেতা বলেন, বাজারে সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না। এখানে আগে যেমন ছিল এখনও তেননি চলছে। স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে না মানলে করোনা দ্রুত সংক্রমিত হওয়ার সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।

মাস্ক না পড়ে বাজারে আসছেন একজন ক্রেতা। মাস্ক কেন পড়েন নি প্রতিবেদকের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবই উপরে আল্লাহর ইচ্ছা। মাস্ক না পড়লে সমস্যা নেই।

আমির হোসেন নামে কাঁচা বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে মানুষ জন আসছে। তবে লকডাউনের কারণে কিছুটা কম। বাজারের মানুষজন ও ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যবিধি মানছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় কাজের চাপে মাস্ক পড়ার কথা ভুলে যাই। তিনি বলেন, আমরা না হয় কাজের চাপে মাস্ক পড়তে পারছিনা কিন্তু যারা ক্রেতা তারাও তো মাস্ক পড়ে বাজারে আসেনা।

মুজাহিদ নামে আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও পেটের দায়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ঠিকভাবে মানলে আমাদের দেশে লকডাউনেরও প্রয়োজন হতোনা। মানুষজন এত কষ্ট করতো না।