‘ম্যাজিস্ট্রেট আসছেন জরিমানা করবেন, তাড়াতাড়ি মাস্ক পরেন’-এমন কথায় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবক দ্রুত প্যান্টের পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরলেন। ম্যাজিস্ট্রেট চলে যাবার পরপরই তিনি আবার মাস্ক ঢুকালেন প্যান্টের পকেটে। এমন চিত্র দেখা গেছে দাগনভূঞা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায়। কারো মুখে মাস্ক নেই, কারো রয়েছেন থুতনিতে, আবার মাস্ক না পরা নিয়ে যুক্তির কোন শেষ নেই।

গত কয়েকদিন উপজেলার বেকের বাজার, সিলোনীয়া, দুধমুখা, দরবেশের হাটসহ দাগনভূঞা পৌর শহর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন না তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এসময় জরিমানার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করতে দেখা গেছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাস্ক পরা নিয়ে মানুষের মাঝে এক ধরনের উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই বলছেন, মাস্ক তো অনেক দিন ধরে পরিনি, কিছু তো হয়নি। আবার এক শ্রেণির মানুষের সঙ্গে মাস্ক আছে, তারা পরছেন না।
হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটি দাগনভূঞা শাখার সভাপতি এডভোকেট মিজানুর রহমান সেলিম বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা জরুরি। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক পরছে না। এতে নিজেও ঝুঁকিতে থাকছে, অন্যকেও ঝুঁকিতে ফেলছে। সেই জায়গা থেকে সবারই নিজ ও নিজের পরিবারের কথা ভেবে মাস্ক পরা জরুরি।

মোজাম্মেল হক হাছান নামের এক ব্যক্তি বলেন, শহরে অল্প মানুষ মাস্ক পরছে। গ্রামের হাটবাজার গুলোতে বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরছে না। সেখানে মাস্ক পরে থাকলে যেন নিজেরই লজ্জা লাগে। মাস্ক পরার বিষয়ে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা আক্তার তানিয়া বলেন, দাগনভূঞায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এখনি সময় সকলকে সচেতন হবার, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানার পাশাপাশি মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।