ভূমিহীন ও ঘরহীন মানুষকে সরকারের বিনামূল্যে ঘর দেয়ার নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে গভীর নলকূপ দেয়ার নাম করেও নিয়েছেন টাকা। তবে দেননি ঘর কিংবা গভীর নলকূপ। এসব অভিযোগ স্বীকার করলেও অধিকাংশের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেছেন এ জনপ্রতিনিধি। তবে টাকা ফেরত দেয়ার কথা অসত্য বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।

অনুসন্ধানে মিলেছে ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহর চাঞ্চল্যকর অনিয়মের তথ্য। ওই গ্রামের অন্তত ২০ জনেরও অধিক পরিবারকে সরকারীভাবে টিউবওয়েল ও ঘর প্রদান করা হবে বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, নিজে এবং মামুন নামে স্থানীয় একজনের মাধ্যমে অসহায় মানুষ থেকে ঘর দেয়ার নামে টাকা নেন আবদুল্লাহ।

নলকূপ পেতে ইউপি মেম্বারকে স্থানীয় গনু মিয়ার বাড়ীর আলাউদ্দিন, তাজু মাঝি বাড়ীর দুলাল, মোল্লা বাড়ির মোস্তফা মিয়া, আবদুল মাঝি বাড়ির মোঃ ইয়াসিন, রাশেদা আক্তার, সোনা উদ্দিন মাঝি বাড়ির হাসিনা বেগম ২০ হাজার টাকা করে এবং আবদুল মাঝি বাড়ির মাহবুবুল হক ও হুমায়ুন কবির ১৭ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা দেয়ার অভিযোগ করেন।

এছাড়াও খ শেণিতে ঘর দেয়ার নাম করে আব্দুল হকের বাড়ীর আবদুল হক ও আবদুল মাঝি বাড়ীর বিবি রাবেয়া হতে ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ করে ভূক্তভোগীরা।

ভূক্তভোগী আলাউদ্দিন, ইয়াসিন, আবদুল হক জানান, সরকারী টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন আবদুল্লাহ মেম্বার। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও কোন টিউবওয়েল তারা পায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, এলাকায় খোঁজ করলে এরকম বহু মানুষ পাওয়া যাবে যাদেরকে ঘর, টিউবওয়েল ও অন্যান্য ভাতা দেবেন বলে টাকা নিয়েছেন আব্দুল্লাহ মেম্বার।

এছাড়াও আবুল কাশেম, আব্দুল হক, বিবি রাবেয়া অভিযোগ করেন, সরকারী বরাদ্দের ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নিলেও কোন ঘরের ব্যবস্থা করে দেয়নি।

এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ মেম্বার বলেন, টিউবওয়েলের জন্য সাড়ে সাত হাজার টাকা সরকারি খরচ। অতিরিক্ত টাকা কেন নিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাকা নিয়ে তিনি চেয়ারম্যানকে দিয়েছি। তবে ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আরেফিন এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।