দাগনভূঞা বাজারে ফুটপাত দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ হকার ও সিএনজি অটোরিকশা চালকদের দখলে রয়েছে। এতে করে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে রয়েছে পথচারীরা। তাছাড়া অবৈধ পার্কিং এর কারণে বাজারে প্রায় যানজট লেগেই থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় এক কিলোমিটার বাজারের দুপাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক দোকানপাট। এর মধ্যে বেশির ভাগই ফল ও সবজির দোকান। এছাড়াও রয়েছে অনেক ভ্রাম্যমান দোকান- পাট। এছাড়াও বাজারে জিরো পয়েন্টে গড়ে উঠেছে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড। এ কারণে ফুটপাত নেই বললেই চলে। তাছাড়া রাস্তার দুই পাশে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে চালকরা। যার কারণে নিয়মিত যানজট লেগেই থাকে। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হয় পথচারীসহ সাধারণ মানুষদের।

বাজার এলাকার বাসিন্দা নুরুল আফসার জানান, সরকার দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকে এসব দোকানপাট থেকে মাসোয়ারা তুলেন। যার কারণে এ নিয়ে কারো মাথাব্যাথা নেই বললেই চলে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি নুরুল হুদা সেলিম জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফোর লেনের কাজ শুরু হলে এসব স্থাপনা আর থাকবে না।

বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন লিটন জানান, ফুটপাতে যেসব ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেন তাদের পুনর্বাসন করে তারপর উচ্ছেদ অভিযান করলে ভালো হবে। আমরা জানি এসব ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ী। এরা দিনে মালামাল ক্রয় করে তা আবার দিনে বিক্রি করে সংসার চালায়। তাই উচ্ছেদ কার্যক্রম এর আগে তাদের বিষয়টা ভাবা উচিত।

ট্রাফিক ইনচার্জ নাজমুল হক জানান, রাস্তার পাশে অবৈধ পার্কিং এর জন্য আমরা প্রতিনিয়ত মামলা দিয়ে আসছি। তবুও মাঝে মধ্যে যাত্রী ওঠা নামার কথা বলেছিলেন যেগুলো রাস্তার পাশে কিছুক্ষণের জন্য থাকলেও পরবর্তীতে তারা সরে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, বাজারের ফুটপাত দখলের বিষয়ে আমি পৌর মেয়রের গত ২৬ মার্চ এর আগে কথা বলেছি। এ মাসের মধ্যেই বাজারের ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে।

এর আগে দীর্ঘ ১৮ বছর পর ২০১৬ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা খানম বাজারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলে ও পরবর্তীতে আবার বাজারের ফুটপাত অবৈধ হকারদের দখলে চলে যায়।