‘বন্ধু হিসেবে বই কে রাখি, নতুন দিনের স্বপ্ন দেখি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করার লক্ষ্যে ১০৭ টি বই নিয়ে উদ্বোধন হলো মুক্ত পাঠাগার ‘পুস্তক’।

গতকাল মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে নবীন চন্দ্র সেন পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গনে পাঠগারের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী। তিনি ‘নীল দর্পণ’ নামে একটি বই পড়তে নিয়ে যান। এসময় ‘পুস্তক’র উদ্যোক্তা ইরফানুর রহমান, তাহমিদ শাহরিয়ার সহ বইপ্রেমি শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সুজন চৌধুরী বলেন, যদি আলোকিত মানুষ চাই, স্বপ্নের বাংলাদেশ চাই তার জন্য বই এর বিকল্প হতে পারে না। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি একজন ব্যক্তির চিন্তা-চেতনার বিকাশ ঘটাতে সাহিত্যের অবদান অনস্বীকার্য। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ফেনীর বইপ্রেমী মানুষ উপকৃত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পাঠাগারের উদ্যোক্তা ইরফানুর রহমান বলেন, বইপ্রেমীর আগে তার পরিচয় সে একজন মানুষ। আর একজন মানুষের মনুষত্বের বিকাশ ঘটাতে বই এর বিকল্প কিছু আছে বলে আমি মনে করিনা। কিন্তু বিভিন্ন শর্ত বা আর্থিক সমস্যার কারণে আমরা বই থেকে বেশ দূরেই থাকি।

তিনি বলেন, পুস্তক পাঠককে সুযোগ করে দিচ্ছে বই দেয়ার এবং নেয়ার মাধ্যমে মানুষের মন জুড়ে সাহিত্যের প্রভাব বিস্তার করার। নিঃসন্দেহে বই প্রেমীরা মুক্ত হৃদয়ের মানুষ। বই দেয়া এবং নেয়ার ভারসাম্য বজায় রেখে একটি আলোকিত সমাজ গঠনের স্বপ্নে তারাও অংশীদার হবে বলে আশা করেন তিনি।

এসময় পুস্তক'র আরেক উদ্যোক্তা তাহমিদ শাহরিয়ার বলেন, আমি এবং ইরফানুর রহমান ভাইয়া যখন এই প্রস্তাব সামনে নিয়ে আসি সকলের মতামতের মাধ্যমে অনেক গুলো সম্ভাব্য সমস্যার কথা শুনি, যার মুখোমুখি আমরা সামনে হতে পারি। তবে আমার বিশ্বাস ছিলো, প্রথম কদমটা যদি এখনই না বাড়াই সামনে আরো দেরী হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, বিফল হওয়ার সম্ভাবনা সব কিছুতেই থাকে, শুরু করার সপ্নটাকে বাস্তবতায় রূপ দেওয়া শুরু করলে সেই সম্ভাবনা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

এসময় তিনি শহরের বাইরে প্রত্যেকটি মানুষকে একবার এর জন্যে হলেও জন্যে পাঠাগারটি ঘুরে দেখা সহ সবাইকে কমপক্ষে একটি বই পুস্তকে রেখে যাওয়ার অনুরোধ জানান।

এসময় বইপ্রেমীরা তাদের পছন্দের বই পুস্তক থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন এবং অনেকে তাদের বই পুস্তককে রেখে গেছেন।