গত ২৪ ঘন্টায় ১৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ফেনীতে আরও ৬৯ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ১ জুন হতে আজ বুধবার (৩০ জুন) পর্যন্ত ৩০ দিনে ফেনীর ৩ হাজার ৪৯৯টি নমুনা পরীক্ষায় মোট ৭৩৫ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে এক মাসে এটিই সর্বাধিক। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার প্রায় ২১.০০ শতাংশ। এর মধ্যে সোমবার (২৮ জুন) ২৪ ঘন্টার মধ্যে জেলার ৩০৮টি নমুনা পরীক্ষা করে সর্বোচ্চ ১০৯ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়।

এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তকৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৫৫ জনে। আর গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে মে মাসে ২ হাজার ৯৯৪টি নুমনা পরীক্ষা করে ২৯৩ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ৯.৭৮ শতাংশ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ২৯ জন, দাগনভূঞায় ৬ জন, সোনাগাজীতে ৯ জন, ছাগলনাইয়ায় ১৫ জন, পরশুরামে ৪ জন এবং ফুলগাজীতে ৫ জন রয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৮.৫৪ শতাংশ।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সংক্রমণ হার বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংক্রমণ হার উপজেলার তুলনায় জেলা শহরে কয়েকগুণ বেশি। এদিকে, করোনার সংক্রমণ হার উর্ধ্বগতির হলেও শহরে ও গ্রামে মানুষের চলাচল স্বাভাবিকের মতো রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না ঠিকমতো। এটি ঠিকমত অনুসরণ না করলে সংক্রমণ হার আরও বাড়তে পারে বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে করোনা শনাক্তের হার বেড়ে যাবার পাশাপাশি হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে মোট ৫৯ জন করোনা পজিটিভ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ২৫ জন, দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬ জন, ছাগলনাইয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১, সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন, পরশুরামে রয়েছেন ৩ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ২ জন। অন্যদিকে আজ পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে ৩ হাজার ৮৩১ জন রোগী সুস্থ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন রোগী।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৫২১ জন। আজ পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার জন্য ফেনীতে ২৪ হাজার ৩৬৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৪ হাজার ২৭৫টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় মোট শনাক্তের হার ১৮.৩৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার প্রায় ১.৫৮ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত ফেনীতে টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৭ জন।

গত বছরের ১৬ এপ্রিল জেলার ছাগলনাইয়ায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল।