গত ২৪ ঘন্টায় ফেনীর ২৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে যার মধ্যে ১২৮টি পজিটিভ এসেছে, যার মধ্যে ২টি দ্বিতীয় নমুনা। শনাক্তের সংখ্যায় এটিই এ যাবতকালে ফেনীতে একদিনে সর্বোচ্চ। নমুনা অনুপাতে শনাক্তের হার ৫৪.৫৪ শতাংশ। এ সময়ের ব্যবধানে ফেনীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) এসব তথ্য জানায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

এর আগে গতকাল সোমবার (৫ জুলাই) ১৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে যার মধ্যে ১০৭টি পজিটিভ এসেছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ছিল ৫৪.৮৭ শতাংশ। এর আগের দিন রবিবার ২১৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯৭ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ৪৪.৭৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৬৭ জন, দাগনভূঞায় ৩ জন, সোনাগাজীতে ১৩ জন, ছাগলনাইয়ায় ১৬ জন, পরশুরামে ১১ জন এবং ফুলগাজীতে ১৬ জন রয়েছে।

স্বাস্থ্যবিভাগ জানায়, আজ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) পর্যন্ত জেলায় মোট কোভিড-১৯ শনাক্তকৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯১১ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৭৯ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ৩ হাজার ৯৭১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৮ জন রোগী। আজ পর্যন্ত ফেনীতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৩০ জন, যাদের মধ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৫৮ জন।

ফেনীতে মোট করোনা শনাক্তকৃত ৪ হাজার ৯১১ জন ব্যক্তির মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ২ হাজার ৩০৯ জন। যা মোট শনাক্তের ৪৭.০১ শতাংশ। শনাক্তের দিকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। আজ পর্যন্ত এ উপজেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৭৫৬ জন। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ছাগলনাইয়া। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৬৮৪ জন। সোনাগাজী উপজেলায় শনাক্ত হয়েছে ৫১৫ জন, পরশুরামে শনাক্ত হয়েছে ৩৩০ জন। সর্বনিম্ন শনাক্ত হয়েছে ফুলগাজীতে ২৭৬ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের রোগী রয়েছেন ৪১ জন।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭২ জন রোগী। এদের মধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৩৮ জন, দাগনভূইয়ায় ১৬ জন, ছাগলনাইয়ায় ১০ জন, পরশুরামে ৪ জন, সোনাগাজী ২ এবং বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ২ জন রোগী।

একই সূত্র জানায়, আজ পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার জন্য ফেনীতে ২৫ হাজার ৪৪৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৫ হাজার ৪৩৮ টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে গড় শনাক্তের হার ১৯.৩০ শতাংশ।

গতকাল পর্যন্ত ফেনীতে টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছেন ৬৬ হাজার ২০৭ জন।