শনিবার (২৬ অক্টোবর) ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমা দিয়েছেন চলমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় শেষ হয়েছে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের মনোয়নপত্র গ্রহণ ও জমাদানের সময়। নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট নুর হোসেন জানান, সাধারণ সম্পাদক পদে শুধু নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জ্বীবিত, কৈশোর পেরোনো নিজাম উদ্দিন হাজারী চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ‍উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে পড়াকালীন ছাত্র রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। ১৯৮৩-৮৪ সালে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে দক্ষতার সাথে ছাত্রলীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

এরপর তিনি চট্টগ্রাম মহানগর ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তিনি একজন দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে সংগ্রামের রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন।

২০০৫ সাল থেকে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নেন নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি। অতি অল্প সময়ে নিজেকে এ জনপদে একজন বলিষ্ঠ ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত করেন। ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর তৎকালীন সময়ে ফেনীর সাড়া জাগানো জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।

এক সময়ের সন্ত্রাসের জনপদ খ্যাত ফেনী পরিবর্তিত হতে থাকে একটি শান্তির জনপদ হিসেবে। বর্তমান সময়ে এ শহরে নেই রাজনৈতিক বিদ্বেষ, নেই প্রতিহিংসার রাজনীতি। এক সময়ে এ জনপদে রক্তস্রোত বয়ে গেলেও এখন তা সম্প্রীতির রাজনীতির উদাহরণ।

সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করতে নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি কাজ করছেন অক্লান্ত। ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পূর্বেই জেলার ৪৩টি ইউনিয়নে দলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ইউনিয়নের আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের উদাহরণ স্থাপন করেছেন। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে ৪৩২টি ওয়ার্ডের কমিটি।

এছাড়াও জেলার ৬টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভার দলীয় কমিটি গঠনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সক্ষমতাকে নিয়ে গেছেন অতীতের যেকোন সময়ের উর্ধ্বে। বিশাল এ সাংগঠনিক কর্মযজ্ঞের ফলাফল স্বরূপ সংগঠনের তৃণমূল পর্যন্ত নিরন্তর উৎসাহ ও প্রেরণা যুগিয়ে চলেছেন।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়কাল বিবেচনায় ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের ৭ম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। একজন ব্যস্ততম জনপ্রতিনিধি হয়েও সম্মেলনকে ঘিরে সকল কর্মকান্ড নিজেই দেখভাল করছেন। খোঁজ খবর নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কর্মীরা এতেই সন্তুষ্ট।

ছবি: ফেইসবুক/এস আলম সবুজ