ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেছেন, বর্তমানে ফেইসবুক, টুইটারসহ অনলাইনের চলমান ‘লাইক’ সংস্কৃতি আমাদের বই পাঠের প্রতি বিমুখ করে তুলছে। এসব হতে দূরে থেকে বইয়ের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ালে আমাদের জ্ঞানের ভান্ডার যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি আমাদের সৃজনশীলতা ও মননশীলতার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটবে।


আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষ্যে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।


জেলা প্রশাসক বলেন, জানতে হলে, জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হলে অবশ্যই বই পড়তে হবে। আর পড়ার জন্য গ্রন্থাগারের চেয়ে উত্তম আর কিছু নেই।


এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সময় নষ্ট না করে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তোমাদের বই পাঠের অভ্যাস সৃষ্টি করতে হবে। বই পড়লে তোমরা অজানাকে জানতে পারবে, শিখতে পারবে। বই পড়ার মাধ্যমে তোমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রস্তুত হতে পারবে।


সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছাঃ সুমনী আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সলিম উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান মোঃ কামরুল হাছান।


এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে শহরের ফেনী সিটি কলেজের সামনে থেকে জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুজজামানের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে গিয়ে শেষ হয়।


লাইব্রেরিয়ান মোঃ কামরুল হাছান জানান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের উদ্যোগে ‘পড়ব বই, গড়ব দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এ স্লোগানে জেলা প্রশাসন ও সরকারি গণগ্রন্থাগারের আয়োজনে ফেনীতে দিবসটি সাড়ম্বরে পালন করা হয়। এতে ফেনীর সরকারি গ্রন্থাগার ছাড়াও বেসরকারি গ্রন্থাগারগুলো অংশ নেয়। এতে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজের প্রায় ৩শ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।


তিনি জানান, সভা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ২৮জন বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে বই পাঠে ৬জন, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় ২১ জন ও একজন সেরা পাঠককে পুরস্কার প্রদান করা হয়।