ছাগলনাইয়ায় ৭৬ কেজি গাঁজা জব্দ করল বিজিবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার চম্পকনগর সীমান্ত থেকে ৭৬ কেজি ভারত হতে চোরাইপথে আসা গাঁজা জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (৪ বিজিবি)। গতকাল রোববার (২০ এপ্রিল) রাত তিনটার দিকে ৪ বিজিবির একটি টহল দল এ মাদক উদ্ধার করে। জব্দকৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। রোববার দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ফেনী ব্যাটালিয়নের (৪ বিজিবি) চম্পকনগর বিওপিসংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় টহল পরিচালনার সময় একদল পাচারকারী ভারতীয় গাঁজার একটি চালান নিয়ে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছিল। বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা গাঁজার বস্তাগুলো ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৭৬ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান রোধে বিজিবি নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
ফসলিজমির উর্বর অংশ কেটে নেওয়ায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা
ফেনী ডেস্ক
ফসলিজমির উর্বর অংশ কেটে নেওয়ায় ফেনীতে শেখ ফরিদ (৪৮) ওরফে মাটি বাবা নামে এক ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের কসকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব তালুকদার।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ফসলিজমির উর্বর অংশ কেটে ফেলার অপরাধে ওই ব্যক্তিকে এ জরিমানা করা হয়েছে। খবর পেয়ে উক্ত এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ছাগলনাইয়া-বক্সমাহমুদ সড়ক জুড়ে খানাখন্দে জনদুর্ভোগ
নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ছাগলনাইয়া
জেলা শহর ফেনীর সাথে ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম তিন উপজেলার মানুষের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক ক্যাপ্টেন লিংক রোড। ছাগলনাইয়া-বক্সমাহমুদ সড়ক নামে এ সড়কটি স্থানীয়দের নিকট পরিচিত। ছাগলনাইয়ার উত্তর অঞ্চলের জনসাধারণ উপজেলা ও জেলা শহরে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটির অধিকাংশ স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে জনদূর্ভোগ ক্রমশই বাড়ছে। সড়কের দুরবস্থার কারণে স্থানীয় জনগণের চলাচলে দুর্ভোগ বাড়ছে। দীর্ঘদিন এ সড়কের খানাখন্দের বিষয়টি স্থায়ী সমস্যা হিসেবে বিরাজমান রয়েছে। সড়কটির নাজুক অবস্থা যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় জনসাধারণের দৈনন্দিন প্রয়োজনে এ সড়ক ব্যবহারের পাশাপাশি মনুরহাটে প্রতিষ্ঠিত আলহাজ্ব আবদুল হক চৌধুরী ডিগ্রী কলেজসহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটি। দীর্ঘ সময় সড়কটি বেহাল দশার দ্রুত সংস্কার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ক্যাপ্টেন লিংক রোড ব্যবহার করে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার কিছু মানুষ ছাগলনাইয়া সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। এ সড়কের নাজুক অবস্থায় হাসপাতালে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন উপকারভোগীরা।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাফর হোসেন মজুমদার জানান, একদশক পূর্বে এ সড়কের সংস্কার কাজ হয়েছিলো। এরপর দীর্ঘ সময় সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
মোহাম্মদ আশ্রাফুল নামক যুবকের অভিযোগ, উপজেলার অন্যসব প্রধান সড়কের সংস্কার কাজ হলেও ছাগলনাইয়া-বক্সমাহমুদ সড়কের বেহাল দশা দেখার কেউ নাই!
সরেজমিনে দেখা যায়, ছাগলনাইয়া-বক্সমাহমুদ সড়কজুড়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালকদের অভিযোগ, ক্যাপ্টেন লিংক রোড ছাগলনাইয়া থেকে পরশুরাম উপজেলা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটারের পথের বেশ কিছু স্থানে খানাখন্দের কারণে গাড়ী চলানো দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে পড়েছে। দ্রুত এ সড়কের সম্পূর্ণ সংস্কার করা না হলে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে জানান তারা।
এ বিষয় জেলা সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীত চাকমা দৈনিক ফেনীকে জানান, এ সড়ক সংস্কারের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
ভূমি অধিগ্রহণের শঙ্কায় মালিকরা
প্রশস্ত হচ্ছে ফেনী-বিলোনিয়া সড়ক
এমএ হাসান, পরশুরাম
ফেনী-বিলোনিয়া সড়কের প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড টু লেন সড়কে উন্নীত করা হবে সড়কটি। চলতি বছরের মে মাস থেকে সড়ক প্রশস্ত করার কাজ শুরু হবে ফেনীর সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে। এদিকে সড়কের দুই পাশের ভূমি অধিগ্রহণে ভূমি মালিকরা নায্যমূল্য পাবেন কিনা সেটি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
ফেনীর সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, তিনটি কার্যাদেশে ফেনী-বিলোনিয়া সড়কের ২৮ কিলোমিটার সড়কের কাজ সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যে একটি অংশের দরপত্রের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও দুইটি কার্যাদেশ প্রদান করা হবে। বর্তমানে সড়কটির প্রশস্ততা রয়েছে ৫ দশমিক ৫০ মিটার। নতুন কার্যাদেশে উভয় পাশে আরও ৪ দশমিক ৮০ মিটার প্রশস্ত করা হবে। কাজ শেষ হওয়ার পর সড়কটির প্রশস্ততা হবে ১০ দশমিক ৩০ মিটার।
জানা গেছে, ফেনী শহরের টেকনিক্যাল মোড় থেকে সড়কটির প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হবে। ফেনী-বিলোনিয়া সড়কটির দৈর্ঘ্য ২৮ কিলোমিটার। এটি ফেনীর ব্যস্ততম আঞ্চলিক সড়ক। এ সড়ক ফেনী জেলা সদরের সাথে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। বিলোনিয়া স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানির মাধ্যম সড়কটি। বিভিন্ন সময়ে সড়কটি সংস্কার করা হলেও যানবাহন চলাচলে সংকীর্ণ সড়কটিতে প্রতিদিন দূর্ঘটনা ঘটে। গত একবছরে এ সড়কে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ ১২ এপ্রিল ফুলগাজীর কলাবাগান এলাকায় তাসিন উদ্দিন (১৪) নামে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্র বাসচাপায় নিহত হন। সড়কটি প্রশস্তকরণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে পরশুরাম-ফুলগাজী উপজেলার মানুষ।
ফেনী-বিলোনিয়া সড়কে প্রায় ১১ টি হাটবাজার রয়েছে। এর মধ্যে কাজিরবাগ মজিদ মিয়ার বাজার, বন্দুয়া কালিবাজার, নতুন মুন্সীরহাট, পুরাতন মুন্সীরহাট, ফুলগাজী ও পরশুরামসহ ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ১০টি বাজার রয়েছে। এছাড়া সড়কটির বিভিন্নস্থানে রয়েছে অসংখ্য দোকানপাট, জমি ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু হলেও এখনো আশপাশের ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। ভূমি অধিগ্রহণ করা হলে ভূমির নায্যমূল্য পাওয়ার বিষয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ভূমি ও দোকানপাটের মালিকরা।
পরশুরাম বাজারে একটি মার্কেটের মালিক ও ফেনী জজকোটের আইনজীবী আরিফুল ইসলাম মজুমদার বলেন, সড়ক বড় করার দরপত্র আহবান করা হয়েছে। ভূমি ও স্থাপনার মালিকদের কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি দাবি করেন, কাজ শুরু করার আগে বাজারদর অনুযায়ী ভূমি ও স্থাপনার মালিকদের যথাযথ মূল্য দিতে হবে।
ফেনী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা জানান, এটি স্ট্যান্ডার্ড টু লেন হবে। প্রশস্তকরণের কাজ সময়-সাপেক্ষ বিষয়। সড়কটি প্রশস্তকরণে যেখানে যেভাবে প্রয়োজন সেভাবে বাড়ানো কমানো হবে। ভূমি অধিগ্রহণে আইন অনুযায়ী ভূমি মালিকদের অর্থ পরিশোধ করা হবে।
সোনাগাজীতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার,
জমি বিরোধের জেরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পরিবারের
নিজস্ব প্রতিবেদক
সোনাগাজীতে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। রবিবার (২০ এপ্রিল) মাধ্যরাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে সোনাগাজীর চরছান্দিয়া ইউনিয়নের লন্ডনীপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মিজানুর রহমান (৪০) নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি স্থানীয় আব্দুল হালিম মেম্বারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে একটি বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। তবে পরিবারের দাবি, তিনি সোনাগাজী উপজেলা জাতীয় পার্টির কোষাধ্যক্ষ এবং রাজনৈতিকভাবে তেমন সক্রিয় ছিলেন না। তাদের পরিবারের অভিযোগ জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে তার বাড়ির বারান্দায় অস্ত্র রেখে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
মিজানের ছোট ভাই ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী এম ফখরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জ্যাঠাতো ভাইদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। সেই বিরোধ কেন্দ্র করেই আমাদের বাড়ির সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও বারান্দায় অস্ত্র রেখে মিজানকে ফাঁসানো হয়েছে। অথচ প্রশাসন এলে মিজান নিজেই গেইট খুলে সহযোগিতা করে। অস্ত্রবাজ হলে সে পালিয়ে যেত।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমাদের বাড়ি সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। মিজানকে গ্রেফতারের সময় সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত ডিভিআরের ম্যামোরিবক্স খুলে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বারান্দা থেকে অস্ত্র উদ্ধার এবং সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবের ঘটনাকে নাটকীয় ও সাজানো বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মিজানের চাচাতো ভাই মো. হারুন বলেন, প্রশাসনের উপস্থিতিতে আমাকে সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা জানায়, বারান্দা থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু আমি বলেছি, প্রকাশ্যে বারান্দায় কেউ অস্ত্র ফেলে রাখে না। এটি সাজানো বলেই মনে হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম, আবুল কালাম, আনার আহম্মদসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, মিজান ও তার পরিবার সবসময় এলাকার মানুষের পাশে থাকে। তারা কখনো এলাকায় প্রভাব দেখায় না, বরং সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত থাকে। তাদের কাছে অস্ত্র রাখার প্রশ্নই ওঠে না বলে দাবি করেন তারা। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, একটি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হতে হবে।
মিজানের রাজনীতির বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির সোনাগাজী উপজেলা কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান জানান, মিজান আমাদের কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন, তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না। গ্রেফতারের পর শুনেছি কেউ কেউ তাকে যুবলীগের ক্যাডার বলছে, তবে আমি সে বিষয়ে অবগত নই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনাবাহিনীর সোনাগাজী ক্যাম্প ইনচার্জ ক্যাপ্টেন আলিফ আল গনি বলেন, সুনির্দিষ্ট সংবাদের ভিত্তিতেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে একটি বন্দুক ও একটি ম্যাগাজিনসহ তাকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে সিসিটিভির ম্যামোরি খুলে নেওয়ার বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান।
এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বায়েজিদ আকন বলেন, সেনাবাহিনীর তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ অভিযানে মিজানের বাড়ি থেকে অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা রয়েছে। অস্ত্র আইনে নতুন মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হার্ডডিস্ক জব্দের বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য জানেন না বলে জানিয়েছেন।
পরশুরামে কিশোরীকে বিবস্ত্র
আরও এক আসামী গ্রেফতার
পরশুরাম প্রতিনিধি
পরশুরামের মির্জানগরে এক কিশোরীকে বিবস্ত্র করার ঘটনায় ভিডিওধারণ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আবদুল হামিদ বাদশাকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, কিশোরীর মায়ের দায়ের করা মামলায় আবদুল হামিদ বাদশাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকটি ভিডিও বাদশাকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। বাদশা মনিপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।
গত ৫ এপ্রিল দুপুরে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুরে একটি ফাঁকা বাড়িতে কিশোর-কিশোরীর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ইউনিয়ন যুবদল নেতা মেহেদী হোসেনসহ কয়েকজন ওই কিশোরীকে বাধ্য করে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে। ৬ এপ্রিল কিশোরীর মা বাদী হয়ে ৫ জনের নামোল্লোখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে পরশুরাম মডেল থানায় পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ এপ্রিল মধ্যম মনিপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলামকে (১৭) গ্রেফতার করে পুলিশ। মেহেদীসহ অন্যরা পলাতক রয়েছে।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম কিশোরীর ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।