পরশুরামে বালুমহালে অভিযান, সাড়ে ৮ লাখ ঘনফুট বালু জব্দ
পরশুরাম প্রতিনিধি
পরশুরামের বালুমহালে অভিযানে সাড়ে আট লাখ ঘনফুট অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু জব্দ করেছে। পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) পৌর এলাকার বাউরখুমা, দক্ষিণ কাউতলী ও বিলোনিয়ায় দিনভর অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক। অভিযানে অংশ নেয় বিজিবি, পুলিশ ও অনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। বিজিবি সূত্র জানায় জব্দকৃত বালুর আনুমানিক বাজারমূল্য ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শাপলা ট্রেডার্সের নামে বাউরখুমা, দক্ষিণ কাউতলী ও বিলোনিয়ায় অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালুর স্তুপগুলো চিহ্নিত করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রায় ৩০টি বালুর স্তুপে পতাকা লাগানো হয়েছে।
অভিযানে বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত লোহার পাইপ ও পানিতে মেশিন ভাসিয়ে রাখার ড্রাম ফ্রেম জব্দ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে নিয়ে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নিয়মানুযায়ী আদালতের মাধ্যমে জব্দকৃত বালু নিলামে তোলা হবে বলে জানিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক জানান, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে শাপলা ট্রেডার্সের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তখন নতুন করে আর ইজারা হয়নি। আগস্ট মাসে বন্যার পর ইজারা স্থগিত করেছে জেলা প্রশাসন। শাপলা টেড্রার্স কোন ইজারা পায়নি। যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করেছে জেলা প্রশাসন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে।
ফেনীস্থ ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধসহ সীমান্তবর্তী নদী হতে বালু উত্তোলনে ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে যেকোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানসহ আভিযানিক কর্মকান্ড ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

 

সংবাদ করায় দৈনিক ফেনীর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা
আত্মস্বীকৃত সেই মাদককারবারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শেষ হল সাংবাদিকদের দেওয়া আল্টিমেটাম
ফেনী ডেস্ক
মাদককারবারিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মামলার বাদী ফুলগাজীর আমজাদহাট ইউপি সদস্য ও বিএনপিকর্মী রহিম উল্ল্যাহর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে। তবে গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) তার বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিক ও ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অভিযুক্ত অপরাধ স্বীকার করলেও আবার মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি করছে।

মানববন্ধনে বক্তব্যে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবু তাহের বলেন, আমরা দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহার ও তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি করছি। এর আগেও ফেনীতে সাংবাদিকদের হামলা-মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এবারও একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয় ব্যবহার করে এ মাদককারবারি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। দ্রুতই এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম বলেন, আত্মস্বীকৃত একজন অপরাধীর বিরুদ্ধে সবধরনের প্রমাণ থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এর আগে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল। সেই সময় শেষ হলেও অপরাধী এখনো স্বাচ্ছন্দ্যে বাইরে ঘুরছে। বিষয়টি গণমাধ্যমের জন্য উদ্বেগজনক।


ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন (জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নয়) দৈনিক সংগ্রামের প্রতিনিধি একেএম আব্দুর রহিম, চ্যানেল ২৪-এর জেলা প্রতিনিধি দিলদার হোসেন স্বপন, মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব জসিম মাহমুদ, আরটিভি জেলা প্রতিনিধি আজাদ মালদার, এবি পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম বাদল, ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সিদ্দিক আল মামুন, দৈনিক নয়া পয়গামের সম্পাদক এনামুল হক পাটোয়ারী, ফেনী সমাচার সম্পাদক মুহিব্বুল্লাহ ফরহাদ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধি আবদুল কাইয়ুম সোহাগ, বাংলাদেশ বেতারের জেলা প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন, আমার দেশের জেলা প্রতিনিধি এসএম ইউছুপ আলী, দৈনিক সুপ্রভাত পত্রিকার সম্পাদক ফিরোজ আলম, দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি শফি উল্লাহ রিপন, যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি যতন মজুমদার, যমুনা টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক আরিফুর রহমান, সময় টেলিভিশনের সহযোগী সিনিয়র রিপোর্টার আতিয়ার সজল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সমির উদ্দিন, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি মাইন উদ্দিন, সাইবার ইউজার দলের সভাপতি শরিফুল ইসলামের রাসেল, উদয় পত্রিকার সম্পাদক সাঈদ খান, নিউজ ২৪ জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ ইয়াসিন সুমন, ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরাম ফেনীর সভাপতি শাহজালাল ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান হাজারী ডালিম, মানবজমিনের প্রতিনিধি নাজমুল হক শামীম, ফটোজার্নালিস্টের সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত রুবেল, পরশুরাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন, যায়যায়দিনের ফুলগাজী প্রতিনিধি সাহাব উদ্দিন, দৈনিক ফেনী নিজস্ব প্রতিবেদক মো. মোর্শেদ, নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

এর আগে গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) ইউপি সদস্য রহিম উল্ল্যাহ বাদী হয়ে ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক তারেক চৌধুরীকে এক নম্বর আসামি করে ফেনী আদালতে এ মামলা করেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ মামলায় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে ভুল নাম-পদবি ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন- আসামি হিসেবে দৈনিক ফেনীর সম্পাদকের নাম লেখা হয়েছে আরিফুর রহমান। এছাড়া দৈনিক ফেনীর রিপোর্টার হিসেবে মামুনুর রহমান, ঢাকা পোস্টের রিপোর্টার জামশেদ আলম অনিক ও ওমর ফারুক।

মামলার এজাহারে আত্মস্বীকৃত মাদককারবারি নিজেকে জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের ইউপি সদস্য উল্লেখ করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রহিম উল্ল্যাহ।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ‘সীমান্তে চোরাচালানের সাম্রাজ্যে ইউপি সদস্য, বললেন ব্যবসা এটি’ শিরোনামে মাদক কারবার, চোরাচালান ও মানবপাচার চক্র নিয়ে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক ফেনী ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট। এতে মাদক কারবারি হিসেবে ফুলগাজী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বিএনপিকর্মী রহিম উল্ল্যাহসহ বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসে।


রহিম উল্ল্যাহকে শোকজ
প্রতিবেদক
ফুলগাজীর আমজাদহাটের আত্মস্বীকৃত মাদককারবারি ও ইউপি সদস্য রহিম উল্ল্যাহকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) দৈনিক ফেনীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফেনীর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন।
উপপরিচালক জানান, ইউপি সদস্য রহিম উল্যাহর স্বীকারোক্তিমূলক যে কথা ভাইরাল হয়েছে সেই বিষয়টি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাকে শোকজ করেছে। পাশাপাশি তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য রহিম উল্ল্যাহর কর্মকাণ্ড ও সাম্প্রতিক কার্যক্রম আমলে নিয়ে সকল উন্নয়ন প্রকল্প থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

 

সেই রহিম উল্ল্যাহকে অস্বীকার করল ইউনিয়ন বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ফুলগাজী
ফুলগাজীর আমজাদহাটের আত্মস্বীকৃত মাদককারবারি রহিম উল্ল্যাহ বিএনপির কেউ নয় বলে জানিয়েছে আমজাদহাট ইউনিয়ন বিএনপি।
গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে আমজাদহাটে বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম সরওয়ার ও সাঃ সম্পাদক বাহার উদ্দিন মজুমদার।

রহিম উল্লাহর দলের ছবি ব্যবহারের বিষয়ে দলীয় উর্ধতন নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানিয়ে বাহার উদ্দিন মজুমদার বলেন, বিগত ইউপি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেউ ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যপদে নির্বাচন করেনি, রহিম উল্লাহ বিএনপির হলে সে নির্বাচনে প্রার্থীতার বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত মানতো। তিনি সম্প্রতি রহিম উল্লাহর কল রেকর্ড ফাঁসের কথা উল্লেখ করে বলেন, সে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন বিএনপি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতৃবৃন্দসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাধারণ মানুষের একাত্মতা জুলাই আন্দোলন সফল করেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
এবি পার্টি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সাধারণ মানুষের একাত্মতা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনকে সফল করেছে। গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) শহরের একটি কনভেনশন হলে মতবিনিময়ে তিনি এমন কথা বলেন।

এবি পার্টি ফেনী জেলার আয়োজনে গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রত্যাশা, প্রেক্ষাপট ও সংস্কারের তরঙ্গে বদলে যেতে উন্মুখ ফেনী শীর্ষক নাগরিক সভা ও মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সংসদে প্রতিনিধিত্ব এ আন্দোলনের স্বপ্ন।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশের স্বার্থে ড. ইউনুস সরকার ও বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি-এবি পার্টি-গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিভিন্ন ইসলামী দলসহ গণঅভ্যুত্থানের সকল রাজনৈতিক পক্ষের ঐকমত্য জরুরি বলে মনে করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ঐকমত‍্যের ভিত্তিতে ফ‍্যাসিবাদের বিচার, রাষ্ট্রীয় সংস্কার, আইন শৃঙ্খলার উন্নতি ও একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে না পারলে জুলাই অভ‍্যুত্থানের স্বপ্ন ব‍্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

নাগরিক সভায় মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, জুলাই অভ‍্যুত্থানের মাধ‍্যমে প্রমাণিত হয়েছে যারা জনগণের অধিকার কেড়ে নেয় জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে তারা একসময় পালিয়ে যেতে বাধ‍্য হয়। আজ ফেনীসহ দেশের প্রায় সকল জেলার বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতারা সবাই আত্মগোপনে চলে গেছেন। পাড়ায় মহল্লায় আওয়ামী লীগের যেসব নেতারা আছেন তাদের মাথা হেট হয়ে আছে, অথচ কিছুদিন আগেও তাদের দাপটে মানুষ কথা বলতে পারেনি।

ফেনীতে বিএনপি-জামায়াত, হেফাজত ও এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের উপর নির্মম নির্যাতনের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে যেকোন সময় পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আমরা বিশৃঙ্খলা চাই না, আমরা চাই ন‍্যায়সঙ্গত বিচার ও খুনি লুটেরাদের শাস্তি।

সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভেদকে খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে ড. ইউনুস সরকার ও বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি-এবি পার্টি-গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিভিন্ন ইসলামী দলসহ গণঅভ্যুত্থানের সকল রাজনৈতিক পক্ষের ঐকমত্য জরুরী।

ফেনীতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও চীনের অর্থায়নে আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দল-মত নির্বিশেষে এটা ফেনীর জনগণের প্রাণের দাবি। এজন‍্য ফেনীর সকল মানুষ একদিন একযোগে প্রতীকী অনশন পালনের কর্মসূচি রাখার প্রস্তাব দেন তিনি।

মতবিনিময়ে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী শাহ আলম বাদল। ফেনী জেলা এবি পার্টির সদস্য সচিব প্রভাষক ফজলুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আহ্বায়ক মাস্টার আহসান উল্লাহ।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টি ফেনী জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আফলাতুল বাকী ফেনী, যুগ্ম আহবায়ক মোতাহের হোসেন বাহার, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন আনসারী, নজরুল ইসলাম কামরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত সাজু, কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম শাহীন সুলতানী, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হাবীব উল্যাহ মিয়াজী, সমাজসেবা সম্পাদক এবি সিদ্দিক, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও ফেনী পৌর সদস্য সচিব অধ্যাপক রিজওয়ানুল খায়ের, সহ-দপ্তর সম্পাদক নাজরানা হাফিজ অম্লান, নারী বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা আক্তার মনি, সহ-নারী বিষয়ক সম্পাদক শানু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলা আব্দুল হাফিজ খন্দকার, সদস্য প্রভাষক মোজাম্মেল হোসেন, কাজী জাহাঙ্গীর আলম, ফখরুল ইসলাম মুরাদ, ফেনী সদর উপজেলা সদস্য সচিব আবু সাইদ, যুগ্ম সদস্য সচিব হাফেজ কামরুল, সোনাগাজী উপজেলা শাখার আহবায়ক রহমত উল্লাহ মিজান, সদস্য সচিব ওয়াসিউর রহমান খসরু, ছাগলনাইয়া উপজেলা শাখার সমন্বয়ক নাফিজ ইমতিয়াজ শিমুল, সহ-সমন্বয়ক শরীফুল ইসলাম লিংকন, এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শফি উল্লাহ পারভেজ, সদস্য সচিব এসএম ইব্রাহিম সোহাগ প্রমূখ।

মতবিনিময় সভায় ফেনী-২ আসনের ১২টি ইউনিয়নের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন। তারা নিজ নিজ এলাকার সমস‍্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে নানা মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এসময় ফেনীর বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৩০ জনেরও অধিক লোক এবি পার্টির চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে দলে যোগদান করেন।

এরআগে, শনিবার সকালে ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গণসংযোগ করেন তিনি, এসময় একটি উঠান বৈঠকেও বক্তব্য রাখেন। বিকেল ৩টায় ফেনী শহরের মিজান রোডে দলের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন ও দলের নেতা কর্মীদের এক রাজনৈতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

 

উচ্চ আদালতের আদেশ
পেছালো আলিয়া মাদ্রাসার নির্বাচন, আদালতে তথ্য গোপনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
মো. আবু আহমেদ মজুমদার নামে এক শিক্ষার্থীর পিতার দায়েরকৃত রিটের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের আদেশে ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) উচ্চ আদালত থেকে আগামী দুই মাসের জন্য স্থিতিবস্থা আদেশ দেওয়া