ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন (৪৫) নিখোঁজের এক দিন পর মুহুরী নদীর পাড় থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই হত্যার ঘটনার এক বছর পূর্ণ হলেও এখনো শুরু হয়নি মামলার বিচার কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন (৪৫) ফেনী শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে ২০২৪ সালের ২১ জুন নিখোঁজ হন। পরদিন ভোরে মুহুরী নদীর পাড় থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শুরু হয়নি এই হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার তৎকালীন এসআই পলাশ চৌধুরী গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর নিহতের বড় ভাই নুরুল আলমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

এ প্রসঙ্গে কোর্ট পরিদর্শক মো. আবুল কালাম বলেন, নিজাম হত্যা মামলায় চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চার্জশিট গ্রহণের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করলে মামলাটি চার্জ গঠনের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত নিজাম উদ্দিন শহরের রাজাঝির দিঘির পাড়ে একটি কাপড়ের দোকান পরিচালনা করতেন। তিনি মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের মৃত আহছান উল্যার ছেলে। ২০২৪ সালের ২১ জুন রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন নিজাম। বাড়ির কাছাকাছি গেলে তার বড় ভাই নুরুল আলম চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেন। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে মুহুরী নদীর পাশে ঝোপের মধ্যে লাশ লুকিয়ে রাখেন। পরদিন ভোরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি নুরুল আলম আত্মগোপনে ছিলেন। পরে গত বছরের ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় তাকে মোটবী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসী।

নিহতের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার বলেন, আমার স্বামী নিজাম উদ্দিনকে জমি-সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের জেরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি দ্রুত বিচার কার্যক্রম শুরুর দাবি জানাচ্ছি এবং হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ ফাঁসি চাই।