ফেনী শহরে কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ফেনী মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। গতকাল রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ফেনী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও ফেনী সরকারি কলেজের আশপাশ এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বিভিন্ন বয়সের মোট ১৯ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ১৬ জনকে অভিভাবকের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৩ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হেফাজতে রাখা হয়। আটক তিনজন হলেন মহিপালের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাফায়েত হোসেন (১৮), মুজিবুর রহমানের ছেলে মুন্তাসির রহমান শরীফ (১৮) এবং ওয়াহিদুর রহমানের ছেলে আসাদুল ইসলাম বায়েজিদ (১৮)।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফেনী শহরের বিভিন্ন স্থানে কিশোর অপরাধের প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় পাইলট স্কুল মাঠ, দিঘীর পাড়, নাজির রোড, পাঠানবাড়ীসহ একাধিক স্থান বখাটেদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া দিনের বেলায়ও স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের এই অভিযান প্রশংসনীয় হলেও কিশোর অপরাধ দমনে এটি যথেষ্ট নয়। আরও ধারাবাহিক ও কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ বলেন, পাইলট স্কুল মাঠে কিশোর আড্ডার খবর পেয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় হাই স্কুল মাঠ ও আশপাশ থেকে ১৯ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ১৬ জনকে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয় এবং তিনজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে যাচাই-বাছাই চলছে। তারা নিজেদের ছাত্র দাবি করলেও ছাত্রত্ব প্রমাণের কোনো নথি তাদের কাছে পাওয়া যায়নি।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, পাইলট হাই স্কুল মাঠ ও ফেনী কলেজের আশপাশে অপরাধপ্রবণতা এবং বখাটেদের আড্ডা বেড়ে যাওয়ায় পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।