দাগনভূঞায় নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। প্রতিনিয়ত নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে মাতুভূঞা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর আলীপুর গ্রামের ছফর আলী ভূঞা বাড়ি সড়ক। এ সড়কে বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের চলাচলও।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের বাগেরহাট ব্রিজ, বাগেরহাট বাজার সংলগ্ন ছোট ফেনী নদীর পাশ দিয়ে একটি রাস্তা রয়েছে। ছফর আলী ভূঞা বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ির মানুষের যাতায়াতের প্রধান এ রাস্তা নদীতে বিলীনের পর আতঙ্কে এলাকাবাসী। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের স্রোতে যেকোনো সময় নদীতীরবর্তী মানুষের বাড়িঘর ভাঙনের কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। চলমান পরিস্থিতিতে বসতভিটার পাশাপাশি অনেক স্থাপনাও ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু আহাম্মদ বলেন, নদীর পাশেই আমার নতুন বাড়ি। সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয়। এ রাস্তাটি নদীর পাশঘেঁষা।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা শিক্ষক এমদাদ বলেন, রাস্তাটির পাশে হাসেম এগ্রো নামে আমার গরুর খামার রয়েছে। রাস্তাটি অনেক পুরোনো। এ রাস্তা দিয়ে আমাদের পুরাতন বাড়ির প্রায় ৭০ পরিবার ও বেশ কয়েকটি নতুন বাড়ির মানুষের যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। শত শত শিক্ষার্থী স্কুল ও মাদ্রাসায় যেতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। প্রতিদিন একটু একটু করে যেভাবে ভাঙছে কয়েকদিন পরে আশপাশের বাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভাঙনরোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এডিপির অর্থায়নে জেলা পরিষদ দেড় বছর আগে রাস্তাটি সলিং করেছিল।

রহিম উল্যাহ নামে আরেক বাসিন্দ জানান, ছফর আলী ভূঞা বাড়ি অনেক পুরোনো ও বড় বাড়ি। এই বাড়ি থেকে বের হয়ে নদীর পাশে কয়েকটি নতুন বাড়ি গড়ে উঠেছে। এখন সবাই আতঙ্কে বসবাস করছে। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাগেরহাট মানবিক টিমের আলা উদ্দিন সুমন বলেন, ভাঙনরোধে প্রাথমিকভাবে আমাদের টিমের কয়েকজন সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় বাঁশ ও গাছ ফেলে পানির প্রবল স্রোত ঠেকানোর চেষ্টা করেছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) শিহাব আহাম্মেদ জানান, রাস্তাটি সরেজমিনে গিয়ে দেখে এসেছি। এটি গ্রামীণ সড়ক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় নেই। রাস্তাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্কার কাজ শুরু করলে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কারিগরি সহযোগিতা করা হবে।
এ ব্যাপারে দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহীদুল ইসলাম বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। এ বিষয়ে খবর নেব। রাস্তাটি গুরুত্বসহকারে দেখব এবং দ্রুত কাজ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।