ফেনীতে পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার ফাজিলপুর, সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ও শহরের ইসলামপুর রোড এলাকায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। 

পুলিশ ও নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সকালে সদর উপজেলার ফাজিলপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে একটি মেইল ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তার পরনে জার্সি ও প্যান্ট ছিল। খবর পেয়ে ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এদিন সোনাগাজীর মতিগঞ্জ এলাকায় মাথার ওপর গাছের ঢাল পড়ে খালেক খাঁ (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় দুই মাস আগে কাজের জন্য ফেনীতে এসে সদর উপজেলার ধলিয়ার সোমবারিয়া বাজার এলাকায় থাকতেন তিনি। সেখানে গাছ কাটতে গিয়ে একটি ঢাল মাথায় ওপর পড়লে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ​নিহত মুসা খাঁ বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার কালিরঘাট গ্রামের আবদুল খালেক খাঁর ছেলে।

এর আগে সকালে শহরের ইসলামপুর রোডের গার্ডেন হোটেলে নাস্তা করতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ (৩০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আকস্মিক তিনি অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হোটেলের লোকজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহত খালেদ মাহমুদ দিনাজপুর সদর থানার রাজবাড়ি গ্রামের খাদেমুল ইসলামের ছেলে। তিনি ফেনীতে সিঙ্গার কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারে কাজ করতেন। 

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. রায়হান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে তিনজনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ট্রেনে কাটা পড়ে, একজন গাছের ঢাল পড়ে ও অন্যজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়। তাদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। 

ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক দেওয়ান বলেন, ঢাকাগামী মেইল ট্রেনের ধাক্কায় ওই কিশোর নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রেললাইনের পাশে হাঁটার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। 

ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামজুজ্জামান বলেন, খালেদের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। তার স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।