ঘটনার দুইদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো অনুদঘাটিত রয়ে গেছে ফেনীর জজ আদালতের সেরেস্তাদার এনামুল হকের (৫০) মৃত্যুর রহস্য। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজীম। তিনি জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

এর আগে গতকাল দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে এনামুলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে দুপুর ২টার দিকে ফেনী জজ আদালত প্রাঙনে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্মৃতিচারণ করেন ফেনী জেলা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাঃ সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী, ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মীর মোশাররফ হোসেন মানিক, আদালতের নাজির মো. আলতাফ হোসেনসহ মরহুমের সহকর্মীরা। পরে বাদ আসর ফেনী সদরের পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের নগরকান্দা গ্রামে দুলা মিয়ার বাড়ির সামনে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফতেহপুর রেললাইনের পাশের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এনামুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় লাশটির গলায় শার্ট প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এনামুল হক সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের নগরকান্দা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে। পরিবার নিয়ে তিনি পৌরসভার আলিমুদ্দিন সড়কের মোমেনা ম্যানশনে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড উল্লেখ করে নিহতের স্বজনরা জানান, সকাল ৭টার দিকে আদালতে যাওয়ার জন্য এনামুল হক বাসা থেকে বের হন। পরে দুপুরের দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে দ্রুত স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসেন। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন তারা।

আদালতের নাজির মো. আলতাফ হোসেন জানান, এ ঘটনার জড়িতদের ধরে হত্যার রহস্য উদঘাটন প্রশাসনের সহযোগিতা দরকার।

এ ব্যাপারে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নিশাত তাবাসসুম বলেন, মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।