ফেনীতে পৃথক অভিযানে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও নাশকতার চেষ্টার দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ফেনী মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। তবে, গ্রেপ্তারদের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গ্রেপ্তাররা হলেন-ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার কুঠিরহাট গ্রামের ইউছুপের ছেলে আবদুল্লাহ আল মাসুম (২২), একই উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের নাছির উদ্দীনের ছেলে মো. রাজু (২০), সদর উপজেলার লেমুয়া নেওয়াজপুর এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২১), একই গ্রামের নুর করিমের ছেলে মো. নাহিদ (২২), মমিনুল হকের ছেলে মো. আশরাফুল হক (২১), ঢাকার লালবাগ থানার শহীদনগর এলাকার আনোয়ারের ছেলে মো. জিসান (১৯), একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ফারদিন ইসলাম (১৮), কেরানীগঞ্জ আবদুল্লাহপুরের আনোয়ারা হোসেনের ছেলে মো. সোহেল (১৮) ও শহীদনগর এলাকার সাইফুলের ছেলে সিরাম (১৮)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপোল এলাকা থেকে প্লাস্টিকের বোতলে কেরোসিন ও পেট্রোলসহ সোনাগাজীর আবদুল্লাহ আল মাসুম ও মো. রাজুকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী রাজুর নির্দেশে লালপোল এলাকায় গাড়িতে আগুন লাগিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সেটির ভিডিও পাঠানোর শর্তে তাদের বিকাশে টাকা পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে আটকদের সঙ্গে থাকা আরও ৩ জন পালিয়ে যায়। এদিন রাতে মহাসড়কের সদর উপজেলার লেমুয়া এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের পক্ষে মিছিলের প্রস্তুতিকালে তিনজনকে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে তাদের সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়।
এছাড়া মহিপাল এলাকায় ঘুরাঘুরির সময় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে দাগনভূঞার ইমন নামের এক ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে তাদের মিছিল করাতে পাঠিয়েছিল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশের করা মামলায় কেরোসিন ও পেট্রোলসহ আটক সোনাগাজীর আবদুল্লাহ আল মাসুম ও মো. রাজু দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিনের আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নিশাত তাবাসসুম, ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ, বোগদাদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
