সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) বরাদ্দে ছাগলনাইয়া-ফেনী প্রধান সড়কের দুই পাশ প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের এই অংশের দু’পাশে ১০ দশমিক ৩ ফুট প্রশস্ত করা হচ্ছে। তবে, সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হলেও দু’পাশে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটিগুলো সড়কের উপর দৃশ্যমান দেখে জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। একইসাথে, প্রশস্তকরণের কাজ সমাপ্ত হলে এ সড়কটিতে যানবাহন চলাচলে পুর্বের তুলনায় নিরাপদ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

তাছাড়া ছাগলনাইয়া-ফেনী সড়কের কিছু স্থানে বড় গাছ না কেটে শেকড় কেটে দায়সারা উন্নয়ন কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, সড়কের দু’পাশে গাছ না কেটে প্রশস্তকরণ করা হলে সড়ক দুর্ঘটনাসহ সড়কের পাশে চলাচলে পথচারীদের দুর্ভোগের কারণ হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, ফেনী থেকে ছাগলনাইয়া, ছাগলনাইয়া-করেরহাট সড়ক পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ প্রশস্তকরণের কাজ চলমান। ছাগলনাইয়া উপজেলা বন অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ছাগলনাইয়া-ফেনী ও ছাগলনাইয়া-করেরহাট সড়কের দুই পাশে অন্তত চার হাজার গাছ রয়েছে। ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ছাগলনাইয়া-ফেনী সড়কের পাশে অন্তত ৫০টি বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, ছাগলনাইয়া অংশের সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চললেও গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি এখনো দৃশ্যমান। এসব গাছ ও খুঁটি না সরিয়ে সড়ক উন্নয়ন কাজ করা হলে যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সমূহ সম্ভবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সড়কে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি রেখে সড়ক প্রশস্তকরণের ফলে জনদুর্ভোগ বাড়বে দাবি করে স্থানীয় ব্যবসায়ী নুর হোসেন মজুমদার জানান, সড়কের পাশে গাছ ও খুঁটি অপসারণ না করায় জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে আইনি জটিলতা থাকায় শুরুতে গাছ ও খুঁটি অপসারণ করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ মোঃ মাহাতাব উদ্দিন রুমি দৈনিক ফেনীকে জানান, এখন আইনি জটিলতা নিরসন হয়েছে। তাই সড়কের যে অংশে গাছ ও খুঁটি অপসারণ প্রয়োজন সেগুলো সরানোর জন্য দরপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সড়ক সংস্কার কাজ সমাপ্তির আগে গাছ ও খুঁটি অপসারণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।