ছাগলনাইয়ায় নিজ গৃহ থেকে শেখ ফরিদ (৪২) নামক এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে বাড়ীতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে সূত্র খুঁজতে গিয়ে মরদেহের সন্ধান মেলে। তিনি পাঠাননগর ইউনিয়নের পাঠানগড় সুলতান হাজী বাড়ীর মৃত নজির আহাম্মদের ছেলে।

নিহতের ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান জানান, বাড়ীতে আমার ভাইয়ের পরিবার ও আমার পরিবারের কেউ ছিল না। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ ঘটিকার দিকে আমি আমার ভাইকে এলাকার দোকানের সামনে দেখতে পাই। এসময় বাড়ীর লোকজনসহ আমি ভাইয়ের ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে দরজা জানালা ভেতর থেকে বন্ধ পাই। পরে জানালা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করলে দেখতে পাই তার অর্ধগলিত মরদেহ মেঝেতে পড়ে আছে।

নিহতের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার জানান, ছয় বছর আগে আমরা ভালোবেসে বিয়ে করি। আমাদের দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঝর্ণা জানান, সে বিয়ের পর থেকে কোন কাজকর্ম করতো না। কাজ করার বিষয়ে কথা বললে আমাকে মারধর করতো। এরমধ্যে সে আমার অজান্তে মাদকসেবন করতো। গত এক সপ্তাহ আগে আমি তার সাথে রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাই। এই এক সপ্তাহ সে আমার সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। গ্রামের মানুষের মুখে শুনতে পেয়েছি সে মারা গেছে। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে স্ত্রী ঝর্ণা জানান, কেউ তাকে মেরে ফেলবে এমন কারো সাথে তার কোন পূর্বশত্রুতা ছিল বলে আমার জানা নাই। তবে, অতিরিক্ত নেশা অথবা খারাপ কিছু খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

নিহতের মা রৌশন আরা বেগম জানান, আমার ছেলের সাথে কারো কোন শত্রুতা ছিল না। ঘরের দরজা জানালা ভেতর থেকে বন্ধ অবস্থায় কিভাবে তার মৃত্যু হলো সেটা আল্লাহ ভালো জানেন।

এ বিষয়ে ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখতে পেয়েছি শেখ ফরিদের মরদেহ অর্ধগলিত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। স্থানীয় সূত্রে জানতে পেয়েছি সে ছোটবেলা থেকে মাদকসেবন করতো। আর্থিক অনটন থেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে কিংবা অতিরিক্ত মাদকসেবনের কারণে মৃত্যু হতে পারে মন্তব্য করে ওসি জানান, আমরা, লাশের সুরতহাল করার জন্য মর্গে পাঠাচ্ছি। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।