পরশুরাম পৌর এলাকায় সলিয়া কাজী বাড়ি সড়কটি ১৪ বছরেও মেরামত করা হয়নি। পৌরসভার মধ্যে ইট বিছানো সড়কটি এখন স্থানীয়দের কাছে দুঃখ হিসেবে চিহ্নত হয়েছে। সড়কটি মেরামত না করায় মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।

‎স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরশুরাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড সলিয়া কাজী বাড়ির আড়াইশো মিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ২০১১ সালে সড়কটিতে ইটের সলিং করার পরে আর ফিরেও তাকায়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় সড়কটির অবস্থা আরও বেশি খারাপ হয়েছে।

‎‎কাজী বাড়ির বাসিন্দা উম্মে সালমা মুক্তা (৩৫) বলেন, এখানের একটি মাদ্রাসায় শিশুরা পড়ালেখা করে। অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। আমরা প্রায় আতঙ্কে থাকি। সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় কোন গাড়ি চলে না। বায়োবৃদ্ধ মানুষ রয়েছেন। এ সড়কের কারণে তাদেরকে হাসপাতালে আনা নেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়।

‎সরেজমিনে জানা গেছে, দীর্ঘ ১৪ বছরে সড়কটি মেরামত না করায় পুরু সড়কের ইট উঠে গেছে। বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের এখানে সেখানে পানি জমে থাকে। পৌরসভার মধ্যে হলেও সড়কটির আশপাশের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কাটছেই না।

‎মাদ্রাসার ছাত্র আইনুল ইসলাম (১০) জানান, আমরা টমটমে করে মাদ্রাসায় আসি। রাস্তাটি খারাপ হওয়ায় গাড়ি চলে না। হরহামেশা দুর্ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকবার গাড়ি পাশের জমিতে পড়ে গেছে। আমাদের কয়েকজন সহপাঠী আহত হয়েছে।

‎স্থানীয় বাসিন্দা ও গুথুমা সেভ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী নাইমুল ইসলাম জানান, কাজী বাড়ির বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কটি। সড়কটির এমন অবস্থা হয়েছে, সিএনজি বা অন্য গাড়ি দূরের কথা রিক্সাও চলে না। রোগীদের পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স বা অগ্নি নির্বাপনের জন্য ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের সুযোগ নেই। সড়কটি দ্রুত মেরামত করা হলে কাজী বাড়ির মানুষ ভালো থাকবে।

‎পরশুরাম পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল আলিম জানান, সড়কটি মেরামত করার জন্য মাপজোক করা হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।