টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে ফুলগাজী বাজার প্লাবিত হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর থেকে ফুলগাজী পুরাতন পশুর হাট-সংলগ্ন স্লুইস গেট দিয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কের আংশিক অংশ ও বেশকিছু দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারতের উজানের পানিতে সকাল থেকে নদীর পানি বেড়েছে। বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটারের মধ্যে এদিন রাত ৯টার দিকে নদীর পানি ১১ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে পানি কিছুটা কমেছে। রাশেদ নামে বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ফুলগাজী বাজারে ফ্লাডওয়াল, স্লুইসগেট ও পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ নির্মাণ সঠিকভাবে না করায় প্রতিবছরের মতো এবারও মুহুরী নদীর পানি বাজারে ঢুকেছে। নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও বাজার প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়সারা কাজের কারণে একই চিত্র বারবার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
ফুলগাজী বাজার কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম শামীম বলেন, বারবার বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই আমাদের একই চিত্র দেখতে হয়। সময় বদলালেও আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। এবারও দোকানপাটে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ব্যবসায়ীরা আরও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফাহাদ্দিস হোসাইন বলেন, রাত ৮টার পর থেকে নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে পানি বাড়লে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কিছু অংশে ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
এ ব্যাপারে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহরিয়া ইসলাম দৈনিক ফেনীকে বলেন, যে স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করছে তা ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। বাজারের কিছু অংশে এখনো পানি রয়েছে। নদীর পানি কমলে এ সমস্যা থাকবে না। প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী, কুহুয়া এবং সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী-পরশুরামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়।