দাগনভূঞা উপজেলায় সুগন্ধা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয় এবং পেছন থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান বাসটিকে ধাক্কা দিলে বাসটি উল্টে তিনজন নিহত হয়। এতে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত শামীমা আরার (৫০) ছেলে নাফসি আল হাসান গতকাল শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দাগনভূঞা থানায় সুগন্ধা বাসচালক মো ফরিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার সিলোনিয়া বাজারের ব্রীজ সংলগ্ন লাকী রোডের মুখে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর এলাকার শহিদ উল্যাহর স্ত্রী শামীমা আরা (৫০), একই ইউনিয়নের দক্ষিণ জায়লস্কর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মোহাম্মদ শ্রাবণ (২০) ও একই ইউনিয়নে দক্ষিণ বারাহী গোবিন্দ এলাকার মো. শাহিদুলের মেয়ে ছামিরা (১৫)।
এদিকে খবর পেয়ে নিহত তিন পরিবারকে দাগনভূঞা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ও ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নোয়াখালীর কবীরহাট উপজেলার জীবন আরা বেগমকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। নিহত ও আহত পরিবারের হাতে নগদ অর্থ প্রদান করেন ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাইল হোসেন ও দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহীদুল ইসলাম।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহীদুল ইসলাম জানান, আহত পরিবার যারা এখনও আর্থিক সহায়তা পায়নি তাদের সাথে যোগাযোগ করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, বেপরোয়া গতি ও বৃষ্টির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি পুলিশ জব্দ করেছে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ দৈনিক ফেনীকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।